ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত, অভিযুক্ত তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করলো জনতা

3 days ago 19

রাজশাহীর বাগমারায় এক মাছ ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার রানশীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছুটিকাঘাতে নিহত মাছ ব্যবসায়ীর নাম আবদুর রাজ্জাক (৩৫)। জনতার পিটুনিতে নিহত তরুণের নাম আমিনুল ইসলাম (২২)। তারা দুজনই বাগমারার সীমান্তবর্তী নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। আমিনুল মাদকাসক্ত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রানশীবাজার এলাকায় চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন আবদুর রাজ্জাক। এসময় সেখানে গিয়ে মাছ বিক্রির টাকা ছিনিয়ে নিতে তার বুকে ছুরিকাঘাত করেন আমিনুল। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং মারা যান।

পরে আমিনুল দৌড়ে পালাতে চাইলে বাজারের স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এবং মারধর করে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে বাগমারা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে রাজ্জাকের মৃত্যুর খবরে সন্ধ্যার দিকে আত্রাই এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক লোকজন সেখানে হাজির হন। এরপর পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষুব্ধ জনতা আমিনুলকে পিটিয়ে হত্যা করেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, বিকেলে রানশীবাজার এলাকায় মাছ বিক্রির টাকা ছিনিয়ে নিতে রাজ্জাককে ছুরিকাঘাত করে আমিনুল। পরে বাজারের লোকজন আমিনুলকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এবং মারধর করেন।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে বাগমারা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর কিছুক্ষণ পরই প্রায় দেড় হাজার স্থানীয় মানুষ বাজারে ছুটে এসে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমিনুলকে ধরে ফেলে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম জাগো নিউজকে জানান, দুজনই আগে থেকে পরিচিত এবং একই এলাকার মানুষ। অভিযুক্ত আমিনুল মাদকাসক্ত ছিল। বিক্ষুব্ধ জনতার পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তদন্তের পর এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে।

সাখাওয়াত হোসেন/এমকেআর

Read Entire Article