জীবনের নির্মম বাস্তবতায় পরীমনি আজ একাকী মা। ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সন্তানকে বড় করে তোলা কতটা কঠিন, সে কেবল এই মায়েরাই জানেন। আজ তার প্রথম ছেলে রাজ্যর জন্মদিন। এই তো সেদিন জন্মালো সে, দুবছর পার করে তৃতীয় বছরে পা রাখল শিশুটি। ছেলের জন্মদিনে একজনের অভাবে ভীষণ পুড়ছেন পরীমনি।
পরীমনির ছেলের নাম শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। মা তাকে পূণ্য বলেও ডাকেন। তার জন্মের আগে অভিনেত্রীর জীবনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন তার নানা শামসুল হক গাজী। জীবনের আনন্দ-বেদনায় নানা ছিলেন তার সঙ্গী। জন্মদিন উদযাপন কিংবা কারাগার, যেখানেই গেছেন, সেখানেই বয়বৃদ্ধ নানা ছিলেন তার ছায়াসঙ্গী হয়ে। গত নভেম্বরে তিনি চলে যাওয়ার পর একা হয়ে গেছেন পরীমনি। তবে সন্তানের জন্মের পর ধীরে ধীরে সন্তানের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন পরীমনি। আজ তার জন্মদিনে প্রিয় নানার অভাব ভীষণ পোড়াচ্ছে পরীমনিকে।
ছেলের জন্মদিনে পরীমনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজকে আমার ছেলের জন্মদিন। দেখতে দেখতে দুই বছর হয়ে গেল। কতকিছু লিখতে ইচ্ছে করছে, বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারছি না কেন জানি। শুধু গলাটা ধরে আসছে কান্নায়, খুশিতে, আনন্দে। নানাভাইকে মিস করছি ভীষণ।’ জন্মদিনের প্রথম প্রহরে ফেসবুক পরীমনি আরও লিখেছেন, ‘হারানোর ক্ষত বুকে নিয়েই আমরা জীবনের আনন্দটুকু উদযাপন করতে চাই। আপনারা সবাই আমার বাচ্চাদের যে ভালোবাসা দিয়েছেন, আমি সত্যি অনেক কৃতজ্ঞ সবার এই ভালোবাসার কাছে। দোয়া করবেন।’ ফেসবুকের ওই পোস্টে ছোট্ট একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরীমনি। সেখানে ছেলের জন্মদিন উদযাপনের ডোরাকাটা কেক দেখা গেছে। যেটার ওপরে বসে আছে একটা বাঘ। লেখা রয়েছে, ‘হ্যাপি বার্থডে মাই ডিয়ার সান পূণ্য।’
ঢালিউডের তারকা দম্পতি শরীফুল রাজ ও পরীমনির একমাত্র ছেলে পূণ্য। তার জন্মদিন ঘিরে বাড়িতে বিশেষ আয়োজন করেছেন পরীমনি। রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে একা হাতেই সামলাচ্ছেন সংসার। ছেলে পূণ্য আর দত্তক মেয়ে প্রিয়মকে নিয়ে তার সব ভাবনা। নানা চলে যাওয়ার পর বেশ ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সেটা সামলে উঠতে বেশ সময় লেগেছে তার। এখন কাজ আর সন্তানদের নিয়েই কাটছে পরীমনির।
বর্তমানে ‘ফেলুবকশি’ নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরীমনি। ছবিতে তার চরিত্রের নাম লাবণ্য। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার অভিনেতা সোহম। শোনা গিয়েছিল, শুটিংয়ের আগে পাঁচদিনের একটি কর্মশালায়ও অংশ নেবেন তিনি। ‘রঙিলা কিতাব’, ‘প্রীতিলতা’সহ আরও কয়েকটি সিনেমায় যুক্ত হয়েছিলেন পরীমণি, যেগুলো এখনও রয়েছে নির্মিয়মান।
এমআই/আরএমডি/জেআইএম