বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, কোনো সংস্থাকে ছেড়ে কথা বলার মানুষ না আমি আব্দুল হান্নান, ভয় পাই না। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা বেশ কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে ফেসবুক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট দেন তিনি।
মাসউদ লিখেছেন, ‘ঘটনা-১: আজকে সন্ধ্যার একটু আগে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও নোয়াখালী ২-৩ আসনের সাবেক সাংসদ বরকত উল্লাহ বুলু ভাই আমাকে ফোন দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডাকেন। অনেকদিন ওনার সাথে সাক্ষাৎ করার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও ওনার অসুস্থতা ও ব্যস্ততার কারণে সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই ওনার ডাকে সেখানে উপস্থিত হই। ওনার সাথে দুইজন মানুষ ছিলেন; শাহবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক পদপ্রার্থী বাবু ভাই ও মন্টু নামে একজন ব্যবসায়ী।’
তিনি বলেন, ‘ওনাদের সাথে যথারীতি পরিচয় করিয়ে দেন এবং আস্ক করেন মন্টু নামে ওই ব্যক্তির সাথে আমার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা আছে কি না। আমি ওই লোককে আজই প্রথম দেখি। উনি জানালেন আওয়ামীদলীয় সাবেক এক এমপির (মোর্শেদ) জামাই ও মন্টুসহ ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে আমি অভিযোগ প্রদান করেছি। যার কারণে মন্টু নামক ব্যক্তিকে পুলিশ হয়রানি করছে, ওনার বাসায়ও তল্লাশি চালিয়েছে।’
আরও পড়ুন
এই সমন্বয়ক লিখেছেন, ‘ঘটনা-২: ঘটনার শুরু আরও কয়েকদিন আগে, আরটিভির সিনিয়র সাংবাদিক বেলায়েত ভাই ফোন দিয়ে জানান, আমাদের এমডি স্যারের বোনজামাইয়ের নামে আপনি কোনো অভিযোগ প্রদান করেছেন কি না। আমি না বললে উনি জানান, আমার অভিযোগে ওনাকে রমনা থানায় আটকে রাখা হয়েছে। উনি কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না। আমি রমনা জোনের ডিসিকে ফোন দিই, তখন উনি জানান আইজিপি স্যারের নির্দেশে ওনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আমার কোনো অভিযোগ (অভিযোগে) নয়। ঘটনাটি সেখানেই শেষ হতে পারতো!!’
মাসউদ লিখেছেন, ‘ঘটনা-৩: গতকাল এনএসআইয়ের রিফাত ভাই আমাকে ফোন দেন, জানান আমার এবং Hasnat Abdullah ভাইকে নিয়ে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে আমার এবং হাসনাত ভাইয়ের মধ্যস্থতায় এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইনভলভে এমপি মোর্শেদের জামাইকে জামিনযোগ্য ধারায় পুলিশ চালান দিয়েছে।’
‘বিষয়টি জেনে সাথে সাথে রিফাত ভাইয়ের সামনেই রমনা জোনের ডিসিকে ফোন দিই, উনি জানান ওনার বিরুদ্ধে আগের কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা কিংবা মামলা না থাকায় ডিএমপি কমিশনার স্যারের সাথে পরামর্শ করে উনি মামলা দিয়েছেন।’
তিনি লেখেন, ‘ঘটনা- ৪: আজকে ইলিয়াস হোসেন ভাই পোস্ট দিয়েছেন আমি আওয়ামী লীগকে ছাড়ানোর জন্যে তদবির করেছি। সমাপ্তি টানছি, আমার নাম করেই ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, যাতে করে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আমার সাথে যোগাযোগ করে। এভাবেই দেশীয় একটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থার ক্ষোভের শিকার হচ্ছি। আন্দোলন চলাকালীন তাদের কথা শুনিনি আর তাদের অতীত অপকর্মগুলোর ব্যাপারে প্রশ্ন তুলছি বলে।’
‘কোনো সংস্থাকে ছেড়ে কথা বলার মানুষ না আমি আব্দুল হান্নান। ভয় পাই না।’ যোগ করেন আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এনএস/ইএ