ছয় মাস সচল থাকে দুই স্থলবন্দর, বাকি সময় ভূতুড়ে

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দর। এই দুই স্থলবন্দর দিয়ে বছরের ছয় মাস কয়লা আমদানি হয়। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা। অনেকে পরিবারের সদস্যদের মুখে তিনবেলা আহারও জুটাতে পারেন না। ঋণের বোঝায় চোখেমুখে থাকে চিন্তার ছাপ। এমন অবস্থার পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন তারা। বলছেন সবার স্বার্থেই কয়লা আমদানির পাশাপাশি সারাবছর বিভিন্ন প্রকারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালু রাখা প্রয়োজন বন্দর দুটিতে। এদিকে দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আবার সচল হয়েছে এই দুই স্থলবন্দর। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ভারত থেকে ২০ ট্রাক কয়লা প্রবেশ করলে স্থলবন্দর দুটি সচল হয়। কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমে কয়েক গাড়ি কয়লা প্রবেশের পর বন্দরের স্থবিরতা কেটে যাবে। ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিয়মিত পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি করা হবে। এতে যেমন ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে, শ্রমিকরাও কর্মমুখর হবে, একইসঙ্গে সরকার পাবে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। বন্দরকেন্দ্রিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বন্দরে ছয় মাস কাজ থাকে না। তাই শ্রমিকও থাকে না। কিছু শ্রমিক বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করলেও বেশিরভাগ শ্রমিক কাজ না পেয়ে

ছয় মাস সচল থাকে দুই স্থলবন্দর, বাকি সময় ভূতুড়ে

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দর। এই দুই স্থলবন্দর দিয়ে বছরের ছয় মাস কয়লা আমদানি হয়। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা। অনেকে পরিবারের সদস্যদের মুখে তিনবেলা আহারও জুটাতে পারেন না। ঋণের বোঝায় চোখেমুখে থাকে চিন্তার ছাপ। এমন অবস্থার পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন তারা। বলছেন সবার স্বার্থেই কয়লা আমদানির পাশাপাশি সারাবছর বিভিন্ন প্রকারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালু রাখা প্রয়োজন বন্দর দুটিতে।

এদিকে দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আবার সচল হয়েছে এই দুই স্থলবন্দর। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ভারত থেকে ২০ ট্রাক কয়লা প্রবেশ করলে স্থলবন্দর দুটি সচল হয়।

কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমে কয়েক গাড়ি কয়লা প্রবেশের পর বন্দরের স্থবিরতা কেটে যাবে। ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিয়মিত পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি করা হবে। এতে যেমন ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে, শ্রমিকরাও কর্মমুখর হবে, একইসঙ্গে সরকার পাবে মোটা অঙ্কের রাজস্ব।

বন্দরকেন্দ্রিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বন্দরে ছয় মাস কাজ থাকে না। তাই শ্রমিকও থাকে না। কিছু শ্রমিক বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে কোনোরকমে জীবিকা নির্বাহ করলেও বেশিরভাগ শ্রমিক কাজ না পেয়ে অভাব অঘটনের মধ্যে দিন পাড়ি দেয়। তবে নতুন করে আবারো কয়লা আমদানি হওয়ায় কয়লা মালিকরাও শ্রমিকদের ডেকে আনছেন। কয়লা আমদানির মাধ্যমে স্থলবন্দর দুটির স্থবিরতা কেটে যাবে, এতে বেকারত্ব ঘুচবে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন-
ছয় মাস পর কয়লা পেয়ে প্রাণ ফিরলো গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে

একবছরে ভারত ভ্রমণ সাড়ে ১৮ লাখ পাসপোর্টধারীর, রাজস্ব আয় ১৫০ কোটি

আখাউড়া বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের ৮ মে কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৪ ট্রাক কয়লা আমদানির পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। কয়লা আমদানি না হওয়ায় এরপর থেকেই স্থলবন্দরে শুরু হয় সুনসান নীরবতা।

ছয় মাস সচল থাকে দুই স্থলবন্দর, বাকি সময় ভূতুড়ে

কড়ইতলী স্থলবন্দরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন জমশের মিয়া। তিনি বলেন, ‘নিজের দুঃখের কথা কইলেই কী, না কইলেই কী। খুব কষ্টে দিন পার করছি। সবসময় স্থলবন্দর চালু রাখার দাবি জানাই।’

কড়ইতলী-গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের (ব্যবসায়ী সংগঠন) সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার অপু বলেন, ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ভারত থেকে নিয়মিত কয়লা আমদানি করা হবে। এতে বন্দরের ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি শ্রমিকরা নিয়মিত কাজ করে পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারবেন।

ছয় মাস সচল থাকে দুই স্থলবন্দর, বাকি সময় ভূতুড়ে

তিনি বলেন, পাথর আমদানি করতে ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনা করছি। পাথরের যে দাম বলা হচ্ছে- তাতে আমাদের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে ন্যায্য দামে পেতে ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। ঠিকঠাক দাম বললে যেকোনো সময় পাথর আমদানি শুরু হতে পারে।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাটের কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বলেন, সারাবছর বন্দরে আমদানি-রপ্তানি চালু থাকলে একদিকে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে, অন্যদিকে সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবে। আমরা এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

এফএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow