সচিবালয়ে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের পদনাম পরিবর্তন, পেশাগত ও বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং বেতন কমিশন গঠনসহ ৯টি দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর কাছে এ দাবি জানানো হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে নিজেদের বিকশিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হলেও আজও কোনো দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। উচ্চতর পদ সৃষ্টি, পদ সংরক্ষণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সংকুচিতকরণ, ৫০ শতাংশ পেনশন প্রদান, বাস্তবতার আলোকে পদনাম পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
সেখানে আরও বলা হয়, শুধু তা-ই নয়, ‘জাতীয় পে-কমিশন, ২০১৫’ ঘোষিত হওয়ার পর আজ পর্যন্ত বেতন কমিশন গঠন করা হয়নি। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সব দ্রব্যের মূল্য ক্রমাগতভাবে আকাশচুম্বী ও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। নিম্ন বেতনের কর্মচারীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এছাড়া, বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে কর্মচারীদের পেশাগত দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা প্রশাসনিক, পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে অবিলম্বে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ৯ দফা দাবি জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে দাখিল করা হয়।
দাবিগুলো হলো-
• সচিবালয়ে কর্মরত নন-ক্যাডারের ৩৭০টি পদসহ প্রতিটি পদের এক-তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণ।
• প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের পদবি উপ-সহকারী সচিব নামকরণ।
• গ্রেড ১১ থেকে ১৬ এর কর্মচারীদের চারটি পদকে অতিরিক্ত উপ সহকারী সচিব করা।
• ১৭ থেকে ২০ গ্রেডের চারটি পদকে সচিবালয় সহকারী হিসেবে নামকরণ।
• নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠন।
• আগের মতো টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে ২০ শতাংশ টিপটপ ভাতা প্রদান।
• শতভাগ পেনশন অবিলম্বে পুনর্বহাল।
• পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১:৫০০ টাকা অবিলম্বে নির্ধারণ।
• সচিবালয়ে সব শ্রেণির ব্লকড পদ বিলুপ্ত করে সমপদনাম/মর্যাদা ও বেতন গ্রেডের পদে অন্তর্ভুক্তি।
আরএমএম/এমকেআর/জিকেএস