জবাবদিহিতা ছাড়া যে কোনো উন্নয়ন ক্ষণস্থায়ী-ভঙ্গুর

2 hours ago 4

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জবাবদিহিতা ছাড়া যে কোনো উন্নয়ন ক্ষণস্থায়ী ও ভঙ্গুর।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক হীনস্বার্থ ও দুর্নীতির উদ্দেশ্যে গৃহীত অবকাঠামো প্রকল্প শুধু যে অর্থনীতির ওপরই চাপ বাড়ায় তা নয়, তা জনগণের কোনো কল্যাণও করে না। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে—সুশাসন, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণদানকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতি ও জনগণের সম্পদ চুরি কী পরিমাণ ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছিল এবং তার ফলশ্রুতিতে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা কী ভয়ানক নাজুক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল, একে একে (তা) আবিষ্কার করি। আমরা এর অবসান ঘটাচ্ছি যেন আর কখনোই উন্নয়নকে জনগণের সম্পদ আত্মসাতের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা না যায়। দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মজবুত করতে আমরা সংস্কারমূলক কিছু কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্কার হলো রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার সংস্কার—যেখানে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংস্থাকে পৃথক করার জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে। এই উদ্যোগগুলো সদ্যসমাপ্ত এফএফডিফোর সম্মেলনে গৃহীত সেভিয়া অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে যেমন সেভিয়া অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংস্কার করবার চেষ্টা করছে, তেমনি উন্নত বিশ্বও সেভিয়ার সামষ্টিক অঙ্গীকার অনুসারে তাদের দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হবে।

এসময় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থায় বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনার সংস্কার, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক কর সহযোগিতার বৈশ্বিক কাঠামো, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অবৈধ ও দুর্নীতিলব্ধ অর্থ ও পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারেও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

এমইউ/এসআর

 

Read Entire Article