জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা আট ঘণ্টা ধরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ করেনি প্রশাসন। তবে শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষকদের সঙ্গে বসে পড়েন তিনি।
এ সময় প্রক্টর বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। আমি শিক্ষক হিসেবে সংহতি জানাতে এসেছি। প্রশাসনের লোক হিসেবে নয়।
এ বিষয়ে অনশনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো শিক্ষক একাত্মতা পোষণ করলে আমরা তাকে স্বাগত জানাব। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখানে এসে আমাদের দাবি নিশ্চিত না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠব না।
এর আগে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসন, শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থী। সর্বশেষ অনশন কর্মসূচিতে ৩৫ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
তাদের দাবি, সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যতদিন অব্দি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।