জবিতে পাঁচদিনে সংগ্রহ প্রায় ৬০ লাখ টাকা

1 month ago 15

বন্যার্তদের সহায়তায় পাঁচদিনে প্রায় ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছেন জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অর্থ সংগ্রহ ও গণত্রাণ কর্মসূচি’র সক্রিয় সদস্য সোহান প্রামাণিক এ তথ্য জানান।

সোহান বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ত্রাণ সংগ্রহের চিন্তা করি। সেই চিন্তা থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমাদের উদ্যোগে জবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুরান ঢাকার মানুষজন এবং সারাদেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে সাড়া দিচ্ছেন। প্রতিদিন ট্রাকে করে পাঁচ জেলায় ১০টি টিমের মাধ্যমে খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমাদের প্ল্যান আছে প্রাপ্ত অর্থ পুনর্বাসন কেন্দ্রের জন্য পাঠাবো। আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ টাকার মতো সংগ্রহ করেছি।

আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে দেশের ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল। এমন অবস্থায় বন্যাকবলিত এলাকায় সহযোগিতার জন্য টানা পঞ্চমদিনের মতো ত্রাণ সংগ্রহ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একডেমিক ভবনের নিচতলায় অর্থ সংগ্রহ ও গণত্রাণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এখানে পৃথক পৃথক টেবিল বসানো হয়েছে। এদের মধ্যে কোনো টেবিলে শুকনা খাবার, আবার কোনো টেবিলে নগদ অর্থ, আবার কোনোটিতে কাপড়-চোপড় সংগ্রহের বুথ বসানো হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ত্রাণ সংগ্রহের জন্য বুথ বসানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও ইসলামপুরের ব্যবসায়ীদের নগদ অর্থ, শুকনা খাবার, স্যালাইন, ওষুধ, কাপড় দিতে দেখা যায়।

নিজের জমানো টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুথে জমা দিতে আসে শিশু রাইয়াত হোসেন। সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে। রাইয়াত বলে, বন্যার্তদের জন্য প্লাস্টিকের ব্যাংকে জমানো টাকা দান করছি। এই টাকা দিয়ে যদি একজন বন্যাকবলিত মানুষেরও সাহায্য হয়, তাহলেই আমি খুশি।

আরেক শিশু জান্নাতুল আদানী বলে, অনেক আগে থেকেই আমি ব্যাংকে কয়েন জমাচ্ছিলাম। সকালে মাকে বললাম, এই টাকাগুলো আমি বন্যাকবলিত অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য দিয়ে আসতে চাই। এজন্য মায়ের সঙ্গে এখানে টাকাগুলো দিতে আসলাম।

আরএএস/ইএ/এএসএম

Read Entire Article