জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ‘মিথ্যা মামলায়’ ফাঁসানোর অভিযোগ
শরীয়তপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মোহাম্মদ মোহসীন ওরফে স্বপনের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, তাদের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছিলেন স্বপন। তবে তার কাছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দলিলাদি না থাকায় চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আদালতসহ বিভিন্ন দপ্তরে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী আক্কাস সরদার। তবে অভিযুক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী স্বপনের দাবি, জমিটি তার বাবার মৌখিকভাবে ক্রয়কৃত সম্পত্তি। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার ধানুকা এলাকায় বতসবাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও তাদের স্বজনরা। ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৫৬ নম্বর হুগলী মৌজার ২১ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে ও বিআরএস রেকর্ডিয় সূত্রে মালিক মৃত লাল চান সরদারের ছেলে আক্কাস সরদার। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মোহাম্মদ মোহসীন ওরফে স্বপন তার প্রতিবেশী। স্বপন তার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখ
শরীয়তপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মোহাম্মদ মোহসীন ওরফে স্বপনের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, তাদের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছিলেন স্বপন। তবে তার কাছে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দলিলাদি না থাকায় চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আদালতসহ বিভিন্ন দপ্তরে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী আক্কাস সরদার।
তবে অভিযুক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী স্বপনের দাবি, জমিটি তার বাবার মৌখিকভাবে ক্রয়কৃত সম্পত্তি।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভার ধানুকা এলাকায় বতসবাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও তাদের স্বজনরা।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৫৬ নম্বর হুগলী মৌজার ২১ শতাংশ জমি পৈত্রিক সূত্রে ও বিআরএস রেকর্ডিয় সূত্রে মালিক মৃত লাল চান সরদারের ছেলে আক্কাস সরদার। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মোহাম্মদ মোহসীন ওরফে স্বপন তার প্রতিবেশী। স্বপন তার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার অপচেষ্টা করে আসছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
সম্প্রতি জমিটি স্বপনের নামে রেজিস্ট্রেশন করে না দেওয়ায় ১১ নভেম্বর আক্কাস সরদারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা করেন স্বপন। এ ঘটনার পর পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আক্কাস সরদার।
সংবাদ সম্মেলনে আক্কাস সরদারের বোন ফরিদা বেগম বলেন, ‘স্বপনের বাবা আর আমার বাবা দুজনে খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। বাবা বেঁচে থাকাকালীন স্বপনের বাবাকে আমাদের ওই জমিটি চাষাবাদের জন্য দেওয়া হয়েছিল। এখন স্বপন ওই জমিটি দখল করে তার নামে রেজিস্ট্রেশন করে দিতে বলছেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শেখ মোহাম্মদ মোহসীন ওরফে স্বপন বলেন, ‘মৌখিকভাবে আক্কাস সরদারের বাবা জমিটি আমার বাবার কাছে বিক্রি করেছেন। পুরো টাকা দেওয়ার পর ওই জমির দখল বুঝিয়ে দেন আক্কাস সরদারের বাবা। ১৯৯২ সালের পর থেকেই আমরা জমিটি ভোগদখল ও খাজনা দিয়ে আসছি। তবে তিনি জমি দলিল করে দেবেন বলে আর দেননি। পরবর্তী সময়ে তিনি ও আমার বাবা দুজনই মারা যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ বছর আগ পর্যন্ত আমরা খাজনা দিয়েছি। এখন তারা ভাই-বোনরা (আক্কাস সরদার ও তার বোনেরা) যদি বলেন এই জমি তার বাবা আমার বাবার কাছে বিক্রি করেননি, তাহলে আমার আর অভিযোগ নেই। আমি আমার মামলা উঠিয়ে নেবো।’
চাঁদাবাজির মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বপন বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি ওই জমির কাছে গেলে আক্কাস সরদার আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বলেছেন, ওই জমি আমার খেতে হলে ১০ লাখ টাকা তাকে দিতে হবে। নয়তো আমার হাত-পা ভেঙে দেবে। আমি পরে নিরুপায় হয়ে মামলা করেছি।’
বিধান মজুমদার অনি/এসআর/জেআইএম
What's Your Reaction?