জর্ডান সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করছে ইসরায়েল

1 month ago 30

বাড়ছে আরেকটি যুদ্ধের শঙ্কা। এবার জর্ডান সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা বাড়ছে ইসরায়েলি বাহিনীর। সীমান্ত এলাকাজুড়ে আগে থেকেই সেনা মোতায়েন ছিল। কিন্তু সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সেনার সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে তেল আবিব। সম্প্রতি জর্ডানকে নিয়ে পরিকল্পনা পেশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই জর্ডানকে ঘিরে ইসরায়েলের নীলনকশার খবর সামনে আসতে থাকে।

নানা অজুহাতে প্রতিবেশী দেশে হামলা চালাতে জুড়ি নেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। এর আগে সুযোগ বুঝে সিরিয়ায়ও ঢুকে পড়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। লেবাননেও বিশৃঙ্খলার সুযোগে দেশটির বিশাল অঞ্চলজুড়ে আসন জমিয়ে বসেছে তারা। এবার নেতানিয়াহুর নজর জর্ডানের দিকে। 

ইসরায়েলি গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভের বরাতে মিডলইস্ট মনিটর বলছে, জর্ডান সীমান্তে সেনা দ্বিগুণ করেছেন নেতানিয়াহু। বলা হচ্ছে, নিজেদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও মাদকের চোরাচালান ঠেকানোই এর মূল লক্ষ্য। তবে হঠাৎ করে ৫ কোম্পানি থেকে বাড়িয়ে সৈন্য ১০ কোম্পানি করায় ইসরায়েলের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে। বিশেষ করে জর্ডানে ফিলিস্তিনিদের ঠেলে পাঠানোর প্রস্তাবের মধ্যেই এমন ঘটনা সন্দেহ তৈরি করছে।

জর্ডানও ইরানের প্রভাব বলয়ের অংশ বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, এই সীমান্তে চোরাচালানের পেছনে ইরানেরই হাত রয়েছে। আবার সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েল বিরোধী মনোভাবও প্রবল। গেল বছরই এমন কয়েকটি ঘটনায় ইসরায়েলি কয়েক জন সেনা প্রাণ হারান। গেল সেপ্টেম্বরে সীমান্ত এলাকায় গিয়ে নেতানিয়াহু জোর গলায় বলেছিলেন জর্ডান সীমান্তে শক্তিশালী প্রাচীর তৈরি করা হবে।

মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও জর্ডান নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছে ইসরায়েল। একবার জর্ডান নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ঠেলে পাঠাতে পারলে গাজা ও পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে জর্ডান ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন নেতানিয়াহু। যেন এভাবেই ধীরে ধীরে গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পথ খুলতে চান তিনি। 

Read Entire Article