জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় ভোট শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কিছু কিছু কেন্দ্রে লাইন দীর্ঘ থাকায় এবং দুপুরে কিছু কেন্দ্রে এক ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকায় ৮টা পর্যন্তও ভোটগ্রহণ করতে দেখা যায়। এখন গণনা চলছে।
বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, আল বেরুনী হলে ২১১ ভোটারের বিপরীতে ১২৫ ভোট, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ৩৪১ ভোটারের বিপরীতে ২১৬, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ ভোটারের বিপরীতে ৩১০, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৮০ ভোটারের বিপরীতে ১৩৭, শহীদ সালাম—বরকত হলে ২৯৯ ভোটারের বিপরীতে ২২৪, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ ভোটারের বিপরীতে ৩৮৪, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ ভোটারের বিপরীতে ২৪৭, প্রীতিলতা হলে ৩৯৯ ভোটারের বিপরীতে ২৪৬, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৯ ভোটারের বিপরীতে ২৪৯, ১০ নং (ছাত্র) হলে ৫৪১ ভোটারের বিপরীতে ৩৮১, শহীদ রফিক—জব্বার হলে ৬৫৬ ভোটারের বিপরীতে ৪৭০, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ ভোটারের বিপরীতে ২৪৬, ১৩ নং (ছাত্রী) হলে ৫৩২ ভোটারের বিপরীতে ২৭৯, ১৫ নং (ছাত্রী) হলে ৫৭১ ভোটারের বিপরীতে ৩৩৮, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ ভোটারের বিপরীতে ২৬১, রোকেয়া হলে ৯৫৫ ভোটারের বিপরীতে ৬৮০, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৮০৩ ভোটারের বিপরীতে ৪৮৯, বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলে ৯৮৪ ভোটারের বিপরীতে ৫৯৫, ২১ নং (ছাত্র) হলে ৭৩৫ ভোটারের বিপরীতে ৫৬৪, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯১ ভোটারের বিপরীতে ৮১০ এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ ভোটারের বিপরীতে ৭৫২টি ভোট পড়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬৭ জন পোলিং অফিসার (শিক্ষক) এবং ৬৭ জন সহকারী পোলিং অফিসার (কর্মকর্তা) দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটগ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে গণনা করা হবে এবং সেখানেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেন (টিক চিহ্ন)।
এদিকে, জাকসু নির্বাচনের ভোট ওএমআর মেশিনে গণনা করার কথা থাকলেও তা হাতে গোনা হবে। যে ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে তা জামায়াতের কোনো এক কোম্পানির বলে অভিযোগ ওঠার পর ভোট হাতে গোনার সিদ্ধান্ত হয়।