বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে কখনো পিছপা হয়নি বিএনপি। অনেকে অনেক কিছু করেছে, কিন্তু বিএনপি কখনো দলীয় স্বার্থ হাসিল করেনি। জাতির প্রতিটি অর্জনে গর্ব করার দল হচ্ছে বিএনপি। ১৯৯০ এবং ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ছিল গৌরবোজ্জ্বল অবদান।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হতাহতদের স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যায়। এ সময় তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কৃতকর্মের প্রতিবাদ ছিল ৭ নভেম্বর। ’৯০ নিয়েও গর্ব করতে পারে না আওয়ামী লীগ। ৫ আগস্টের গণআন্দোলন শেখ হাসিনার গর্ব করার নয়, পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে রোডম্যাপ দিয়েছে, তা প্রলম্বিত রোডম্যাপ, জনগণ তা প্রত্যাশা করেনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে মেপে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো ভুল হলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবার আছে। তবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল হলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশীজনদের গণতন্ত্রের মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা করতে হবে জানিয়ে রিজভী বলেন, স্বৈরাচারের প্রভাবে নির্বাচিত স্থানীয় প্রতিনিধি ও সব ক্রিমিনাল একত্র হয়ে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে, কোনো দলকে সংগঠিত করলে তা অপরাধীদের দল হবে। বাংলাদেশের জনগণ যথেষ্ট সচেতন। তারা কিন্তু উটপাখির ন্যায় বালুর নিচে মাথা গুঁজে নেই।
শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য নাজমুল হাসান, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, হাবিবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, আদাবর থানা যুবদল নেতা রাফি উদ্দিন ফয়সাল, সাকিবুল হোসেন, মাহফুজ, জিয়া সাইবার ফোর্সের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাজিবুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন, শারিফুল, মোহান, মিসবাহ, রুবেল, মাসুসসহ মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির স্থানীয় নেতারা।