ভারতীয় ষড়যন্ত্র ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে অবিলম্বে জাতীয় ঐক্য ও সংলাপ ডাকার আহ্বান জানান ১২ দলীয় জোট।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিগত কিছুদিন যাবত ভারত সরকার ও উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও সম্প্রতি কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, কর্মকর্তাদের মারধর ও জাতীয় পতাকা পুড়ে ফেলা, ভারতীয় হাসপাতলে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ ও ত্রিপুরার সব হোটেলে বাংলাদেশিদের অবস্থান করতে না দেওয়া ও চরম বাংলাদেশবিরোধী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
জোট নেতারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় এবং ভারতীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার দলগুলোর মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে ও অবিলম্বে জাতীয় সংলাপ ডাকার আহ্বান জানান।
নেতারা বলেন, দেশের স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভারতের সামনে নমনীয় ও নতজানু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জরুরিভিত্তিতে জাতীয় স্বার্থে ফ্যাসিবাদ ও আগ্রাসনবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানান।
১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এমএ মান্নান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ।