ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সুযোগ ও সম্ভাবনার সর্বোত্তম ব্যবহারের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের’ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভায় উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আফিফা মুশতারী উপমা, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের মেহজাবিন আলম, ভূতত্ত্ব বিভাগের মো. নাবিউল হাসান শুভ এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আহমেদ রেজা তৌসিফ বক্তব্য দেন। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও ছাত্র-উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান নবাগত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সহশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন ভাষাগত ও সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাংগঠনিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী ক্লাবগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। দক্ষ তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, গবেষণা কেন্দ্র, আবাসিক হল ও দপ্তরগুলোর পরিচিতি তুলে ধরতে এবং বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তাদের অবহিত করতে ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তর প্রতি বছর এই পরিচিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।