১৯টি দল নিয়ে শনিবার পল্টনের শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে রুচি ৩৬তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্বে ১০ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। এই পর্বে খেলবে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, ফরিদপুর, বরগুনা, শেরপুর, কক্সবাজার, বাংলাদেশ পুলিশ, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও দিনাজপুর।
দ্বিতীয় পর্বের খেলাগুলো শুরু হবে ২০ আগস্ট। এ পর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ৯টি দল। দ্বিতীয় পর্বের দলগুলো হচ্ছে জামালপুর, নওগাঁ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চগড়, নড়াইল, যশোর, ঢাকা, বগুড়া ও গোপালগঞ্জ। দুই পর্বের চারটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরা সেমিফাইনাল খেলবে ২৪ আগস্ট। ফাইনাল ২৫ আগস্ট।
জাতীয় নারী হ্যান্ডবলে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার। এছাড়া রানার্সআপ দল ১৫ হাজার, ৩য় স্থান অর্জনকারী দল ১০ হাজার টাকা পাবে। এর বাইরে প্রথম ৮টি দলকে উৎসাহ ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা করে।
সেরা খেলোয়াড় পাবেন ৫ হাজার টাকা। প্রথমবারের মত প্রতি দলের ১৪ জন করে খেলোয়াড়কে ম্যাচ প্রতি ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
জাতীয় নারী হ্যান্ডবল উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার হ্যান্ডবল ফেডারেশনে সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিক উপস্থাপন করেন ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক ও জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য-সচিব রাশিদা আফজালুন নেসা।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এই প্রতিযোগিতা তারুণ্যের উৎসবের অধীনে হচ্ছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা রয়েছে।’ সাধারণ সম্পাদক মো: সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা এসএ গেমসকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু করেছি। সর্বশেষ এসএ গেমসের চেয়ে পদকের মঞ্চে এক ধাপ উন্নতি করতে চাই।’
আরআই/আইএইচএস