দেশের নয়টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সচিব জানান, এই প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ‘বাংলাদেশ ২.০: তারুণ্যের নেতৃত্বে আগামীর পথে’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা ধারণাপত্র জমা দিযে শুরু করবে এবং নির্বাচিত দলসমূহ পূর্ণাঙ্গ নীতিপত্র প্রস্তুত ও উপস্থাপনা করবে।
বিজয়ীদের পুরস্কৃত হওয়ার পাশাপাশি তাদের নীতি প্রস্তাবগুলো সরকারিভাবে পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নীতি প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হলো- কৃষি, নদী এবং আমাদের উন্নয়নের গতিপথ; গুজব মোকাবিলা; বর্ষা বিপ্লবের নারীদের ভূমিকা; রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ; বর্ষা বিপ্লবের যোদ্ধাদের ধারাবাহিকতা নির্মাণ; বর্ষা বিপ্লব; আমাদের তরুণ আমাদের ভবিষ্য; জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তরুণদের ভূমিকা; দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক সংযোগ এবং স্বাস্থ্য ও জাতীয় নিরাপত্তা।
যুব ও ক্রীড়া মাহবুব-উল আলম বলেন, রাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারণী বিষয়সহ রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আমাদের কাঙ্ক্ষিত দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নীতিগতভাবে অগ্রসর হওয়া। তরুণদের চিন্তা প্রক্রিয়া, মননশীলতা এবং গবেষণাধর্মী সক্ষমতাকে সামনে রেখে এক নতুন পরিবর্তনের সূচনা করা সম্ভব আর সেটি হতে হবে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তারুণ্যের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয় এটি আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে বিনিয়োগ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণই আমাদের রাষ্ট্রকে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেবে এবং বাংলাদেশ ২.০-কে বাস্তবায়নের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস