সোমবার রাতে দেশে ফিরবেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, এরপর রাত পার করে মঙ্গলবার সকালেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে এবং দুপুরে আইসিসি দুর্নীতি দমন সংস্থার সাবেক প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের সাথে বসে বৈঠক করবেন। এমনটা আগেই থেকেই জানা হয়ে গিয়েছিল।
যে কথা সেই কাজ। আজ মঙ্গলবার সকালে ঘড়ির কাঁটা ১০টা ছোঁয়ার আগেই বিসিবি সভাপতির দেখা মিললো রাজধানী ঢাকার প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে। সঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন এবং মাহবুব আনাম, নাজমুল আবেদিন ফাহিম, ইফতিখার রহমান মিঠু, আকরাম খান, ফাহিম সিনহা, সালাউদ্দীন, কাজী এনাম, মঞ্জুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম স্বপনসহ বিসিবির প্রায় সব পরিচালকই উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যে সব ক্রিকেটার কোন না কোন ফরম্যাটে জাতীয় দলে খেলছেন (মাশরাফি, সাকিব, তামিম ও রিয়াদ ছাড়া), তাদের সবার সাথে বৈঠক করেছেন। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে আইসিসি দুর্নীতি দমন সংস্থার সাবেক প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের সঙ্গে একান্তে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি।
প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন তিনি ক্রিকেটারদের সাথে। তার সাথে বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু ওই বৈঠকটাতে ক্রিকেটারদের সাথে বিসিবি সভাপতি ভাব বিনিময় করেন। তিনি মন দিয়ে ক্রিকেটারদের কথা শোনেন। ক্রিকেটাররা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। বিসিবি প্রধান বুলবুল এই ভাব বিনিময়ের নাম দিয়েছেন ‘শেয়ার এন্ড কেয়ার।’
ক্রিকেটার, বোর্ড পরিচালক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে লম্বা মিটিং শেষে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মিডিয়াকে জানান, ‘আজ মঙ্গলবার আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিলাম। বোর্ডের পরিচালকরা এখানে ছিলেন। আমাদের প্রোগ্রামের নাম ছিল শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার। আজকে দুটি বড় বড় কাজ করেছি আমরা। জাতীয় দলে যারা খেলোয়াড় রয়েছেন, সাদা ও লাল বলে যারা খেলছে, সঙ্গে যারা সাপোর্ট স্টাফ আছেন, কোচরা রয়েছেন তাদের সঙ্গে বসেছি।’
‘আমরা মনে করি, আমাদের যে দল মাঠে খেলে তারা একটা দল, যারা ডাগআউটে বসে তারা একটা দল আর আমরা যারা বোর্ডে কাজ করি তারা একটা দল। এই তিন দলের পারফরম্যান্স কী, আমরা সকলের কাছে আটটি প্রশ্ন করেছিলাম, সেগুলোর উত্তর নিয়ে আমরা ডাটা এনালাইসিস করেছি। শেয়ার করেছি কিভাবে আরও উন্নতি করতে পারি।’
আরেকটা সেশন ছিল ইনটিগ্রেটি ইউনিটি নিয়ে। আমাদের দেশের ক্রিকেটকে রক্ষা করার জন্য আমাদের কী কী করণীয়, সেই লক্ষ্যে আমরা মনোযোগ দিয়েছি। আমাদের চার্টারে রয়েছে ইনটিগ্রিটি অব দিস গেম। আসলে ইনটিগ্রিটি বলতে বোঝাচ্ছে, কিভাবে আমরা খেলাটিকে রক্ষা করব, কিভাবে অ্যান্টি ডোপিং করা হবে, এখন ডোপিং একটা বড় ব্যাপার। আমাদের জাতীয় দল কেবল দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বা আইসিসি ইভেন্টেই খেলছে না, এশিয়ান গেমসে খেলছে, হয়তো একদিন অলিম্পিকে খেলবে। সেজন্য এন্টি ডোপিং, সেইফ গাইডিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করে আসা অ্যালেক্স মার্শাল আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমরা তার থেকে একটা দিকনির্দেশনা পেয়েছি কিভাবে বহুল জনপ্রিয় খেলাটাকে রক্ষা করতে পারি এবং তিনি আমাদের ধারনা দিয়েছেন কিভাবে দল তৈরি করতে হবে।’
এআরবি/আইএইচএস/