জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবার স্থান পেতে যাচ্ছে উচ্চশিক্ষার স্তরের পাঠ্যবইয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ের বইয়ে এ ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এরই মধ্যে বিষয়টি প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ের বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ পর্যন্ত আন্দোলনের একটি অধ্যায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই অধ্যায়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন নামে একটি পাঠ রয়েছে বইয়ে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও ডিন ড. এ এইচ রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের বিষয়টিকে নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশের ইতিহাস করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিকৃত ইতিহাস বাদ দিয়ে সত্য ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করেছি, বাকিগুলো প্রণয়ন করার কাজ চলমান।
আরও পড়ুন
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে কোনো দল ক্ষমতায় আসতে পারবে না
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে বিশ্লেষকরা নতুন প্রজন্মের ‘প্রতিবাদ রাজনীতির’ যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে দেখছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা এ গণআন্দোলন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শাহবাগ, টিএসসি, নীলক্ষেত এবং প্রেস ক্লাব এলাকা হয়ে ওঠে বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষার্থীরা দুর্নীতি, রাজনৈতিক নিপীড়ন, শিক্ষা খাতে বৈষম্য এবং নাগরিক অধিকার হরণের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে।
আন্দোলনটি একপর্যায়ে গণজাগরণে রূপ নেয় এবং তৎকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে লক্ষাধিক মানুষ রাজপথে জড়ো হয়। অবশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে এ অভ্যুত্থান চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।
এএএইচ/কেএসআর/এমএস