চলতি জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে সরকারিভাবে এক লাখ ৭৫ হাজার টন চাল দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। এ চাল আসলে বাজারে দাম কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
ক্রমেই বাড়ছে চালের দাম- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমনের ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাল আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছি। বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের চাল আমদানির জন্য উৎসাহিত করছি।
তিনি জানান, এরই মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য দরপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে জি-টু-জি (দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি) ভিত্তিতে এক লাখ টন চাল আনা হবে। পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আনার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
- আরও পড়ুন
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে সরকার
চালের বাজার সহনীয় রাখতে প্রয়োজনে বিশেষ ওএমএস: অর্থ উপদেষ্টা
চলতি মাসে সরকারিভাবে এক লাখ ৭৫ হাজার টন চাল আসবে জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, এ চাল আসলে দাম কমবে বলে আশা করি।
আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, চালের শুল্ক ছাড় দিয়েছি, ওএমএস কার্যক্রম চলছে, সেটি আরও জোরদার করা হবে। টিসিবির অধীনে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টন চাল দেওয়া হচ্ছে। মার্চ থেকে শুরু হবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এ কর্মসূচির অধীনে ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, মজুতবিরোধী আইন প্রয়োগে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দায়িত্ব নিয়ে সরকার একটি বিধ্বস্ত প্রশাসন ব্যবস্থা পেয়েছে। এছাড়া পেয়েছে বিধ্বস্ত পুলিশ, বিধ্বস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এগুলো একটা সেটে আনতে সময় লাগে। বাই দিস টাইম এটা চলে এসেছে।
আরএমএম/কেএসআর