বস্ত্র, পাট ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, যেভাবে জামদানি শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যায় এবং তাঁতিরা লাভবান হয় সে লক্ষ্যে উন্নত বিশ্বে দেশের জামদানি শিল্পকে পরিচিতি ও বাজারজাত বৃদ্ধি করতে কাজ করছে সরকার। বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তাঁতিরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত ছিল।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও এলাকায় জামদানি পল্লি পরিদর্শনে শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মেসার্স লাকি জামদানি উইভিং কারখানাসহ গঙ্গাপুর, চৌরাপাড়া ও ভারগাঁও এলাকার আরও কয়েকটি জামদানি কারখানা পরিদর্শন করেন এবং তাঁতিদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। পরিদর্শনকালে ছদ্মবেশে গঙ্গাপুর বাজারের খুচরা দোকানে শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সম্পর্কে ধারণা নেন তিনি।
বাংলাদেশ উইভার্স প্রোডাস্ট অ্যান্ড মেনুফ্যাকচারারস বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সালাহ উদ্দিনের আয়োজনে পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব আবু আহমদ সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাকিব আল রাব্বি (সার্বিক), সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ, কাঁচপুর রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেগুফতা মেহনাজ, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) তাসমিন আক্তার পিপিএম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম জামদানি এক্সপোর্ট রপ্তানিকারক ও তাঁত সমিতির রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের প্রাথমিক সদস্য জহিরুল হক, ভূলতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তাঁত সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান, পুটিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড তাঁত সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর বারী ও সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফয়সাল আহম্মেদ প্রমুখ।