জামাইষষ্ঠীর দিন আকাশছোঁয়া বাজারদর, ব্যাগ ভরতেই নাভিশ্বাস

3 months ago 38

জামাইষষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অন্যতম একটি উৎসব। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসে শুল্কপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় জামাইষষ্ঠী। এটি হলো সম্পর্কের মেলবন্ধনের উৎসব, রসনাতৃপ্তির উৎসব। বুধবার (১২ জুন) পশ্চিমবঙ্গজুড়ে পালিত হচ্ছে জামাইষষ্ঠী।

এই দিনে জামাইদের মঙ্গল কামনার জন্য শাশুড়িরা ব্রত পালন করেন। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে কন্যা ও জামাইয়ের আপ্যায়নে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে চান প্রত্যেক শ্বশুর-শাশুড়ি। তাদের জন্য থাকে বিশেষ পদের রান্না ও নানা আচার-অনুষ্ঠান।

জামাইষষ্ঠীতে সাধারণত জামাইয়ের পাতে ইলিশ মাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাছের পদ, মাংস, রকমারি মিষ্টি, জৈষ্ঠ্য মাসের ফলফলাদির মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তালের শাঁস তুলে দেওয়া হয়।

ইলিশ মাছ ছাড়া জামাইষষ্ঠী যেন ভাবাই যায় না। আর ইলিশ মাছ বলতে কলকাতার মানুষ বোঝে পদ্মানদীর সুস্বাদু ইলিশ। কিন্তু জামাইষষ্ঠীর সময় এবার কলকাতার কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশের ইলিশ।

যে কয়টা বাজারে ইলিশ মাছের দেখা মিলছে, সবই দিঘা অথবা ডায়মন্ড হারবারের। একটু বড় আকারের ইলিশ হলে পলিথিনের প্যাকেটে মুড়ে বাংলাদেশের ইলিশ বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই ইলিশ কিনতে গিয়েও ভিরমি খাওয়ার অবস্থা শ্বশুরদের।

বাজারঘুরে দেখা গেছে, কলকাতায় ৫০০ থেকে ৭০০ গ্ৰাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ রুপিতে। এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ১ হাজার ২০০ রুপি। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ রুপিতে। কোনো কোনো বাজারে সেই ইলিশেরই দাম চাওয়া হচ্ছে দুই হাজার রুপি পর্যন্ত।

চড়া দাম অন্য মাছেরও। কলকাতায় চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৯০০ রুপি, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ রুপি, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ রুপি।

কাটা মুরগি প্রতি কেজির দাম কোথাও ২৫০ রুপি, কোথাও আবার ২৬০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ রুপি প্রতি কেজি। কোথাও আবার রিয়াজী খাসির দাম হাঁকা হচ্ছে কেজিপ্রতি ৯০০ রুপি।

সবজির দামও আকাশছোঁয়া। বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ২৬ থেকে ৩০ রুপি, পটল ৩০ রুপি, বেগুন ৮০ রুপি। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ রুপিতে বিক্রি হলেও জায়গাভেদে তা কিছুটা ওঠানামা করছে। এছাড়া আদা ২৫০ রুপি, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।

গগনচুম্বী এই বাজারদরের দিনে জামাইদের আপ্যায়ন করতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরোনো শশুরদের পকেটের কড়ি যে ভালোই খসবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

ডিডি/

Read Entire Article