‘জামায়াত ও ছাত্রশিবির সগৌরবে রাজনীতির মসনদ পুনরুদ্ধার করেছে’
জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ও জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়নি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এখন জুলুমবাজরা পালিয়েছে, আর জামায়াত ও ছাত্রশিবির সগৌরবে রাজনীতির মসনদ পুনরুদ্ধার করেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আজাদী বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে প্রীতি সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
শাহজাহান চৌধুরী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে শেখ মুজিবুর রহমান সংসদে দম্ভ করে বলেছিলেন জামায়াতকে দাবাইয়া দিছি, অথচ নিয়তির নির্মম পরিহাস আজ শেখ মুজিব সাহেব এবং তার দল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘে যে বক্তব্য দিয়েছেন, অতীতে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রপ্রধান এভাবে স্পষ্ট ভাষায়, সাহসী বক্তব্য দিতে পারেনি।
ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিকে ইঙ্গিত করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আপনি ধর্মের নামে রাজনীতি আর ব্যবসা করেছেন, ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেছেন। ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে শেখ হাসিনাকে কুপরামর্শ দিয়েছেন। সবকিছুর জবাব আগামী সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদের সাবেক এ হুইপ বলেন, ফটিকছড়িতে জামায়াতে ইসলামীকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালাতে দেয়নি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এখন জুলুমবাজরা পালিয়েছে, আর জামায়াত ও ছাত্রশিবির সগৌরবে রাজনীতির মসনদ পুনরুদ্ধার করেছে।
প্রীতি সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আমির আলাউদ্দিন সিকদার। অধ্যক্ষ মাওলানা আ.ন.ম আব্দুশ শাকুরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যাপক নুরুল আমীন চৌধুরী, সৈয়দ আব্দুল মোনায়েম, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, অধ্যাপক ফজলুল করিম ও নাজিম উদ্দিন সিকদার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহীম, অধ্যাপক সেলিম উদ্দিন, মাওলানা তৈয়ব আলী নূরী, মাস্টার নজরুল ইসলাম, আবু জাফর মোহাম্মদ আলম ও খোরশেদুল আলম ফিরোজ।