জামায়াতের এক নেতা বহিষ্কার

জামায়াতে ইসলামী সাবেক রুকন ও বর্তমানে কর্মী আল মাহমুদ হাজারীকে সাংগঠনিক নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংগঠনের সাধারণ সদস্যপদসহ সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দাগনভূঞা পৌর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. নুর নবী রুবেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দাগনভূঞা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর সভাপতি পদপ্রার্থী ও জামায়াত নেতা আল মাহমুদ হাজারী নির্বাচন বন্ধের জন্য আবেদন করেছেন—এমন অভিযোগ ওঠে। তিনি উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ করলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আল মাহমুদ হাজারী জানান, ২০০৬ সালে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার অবিচারের শিকার হয়ে তিনি রোকনের সব দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। তখন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে, মতিউর রহমান নিজামী আমীর থাকা অবস্থায় তার ইস্তফা গ্রহণ করা হয় এবং পরবর্তীতে চিঠির মাধ

জামায়াতের এক নেতা বহিষ্কার

জামায়াতে ইসলামী সাবেক রুকন ও বর্তমানে কর্মী আল মাহমুদ হাজারীকে সাংগঠনিক নিয়মনীতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সংগঠনের সাধারণ সদস্যপদসহ সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দাগনভূঞা পৌর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. নুর নবী রুবেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দাগনভূঞা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর সভাপতি পদপ্রার্থী ও জামায়াত নেতা আল মাহমুদ হাজারী নির্বাচন বন্ধের জন্য আবেদন করেছেন—এমন অভিযোগ ওঠে। তিনি উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ করলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আল মাহমুদ হাজারী জানান, ২০০৬ সালে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার অবিচারের শিকার হয়ে তিনি রোকনের সব দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন। তখন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে, মতিউর রহমান নিজামী আমীর থাকা অবস্থায় তার ইস্তফা গ্রহণ করা হয় এবং পরবর্তীতে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি তাকে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দলীয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। রাজনৈতিক নেতারা প্রচারণা চালাতে পারবেন না—এমন সিদ্ধান্ত থাকলেও দুই সভাপতি প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচন বন্ধ-সংক্রান্ত যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক।

আল মাহমুদ হাজারীর দাবি, তিনি বাজার কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি এবং নির্বাচন বন্ধের জন্যও কোনো আবেদন করেননি। তার আবেদন ছিল নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর আগেই, খসড়া ভোটার তালিকা সঠিকভাবে প্রণয়নের জন্য। এ বিষয়ে তিনি গত ২০ নভেম্বর জেলা সমাজসেবা দপ্তরে আবেদন করেন, যেখানে নির্বাচন বন্ধের বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না।

আল মাহমুদ হাজারী দাগনভূঞা পৌরসভার জগতপুর গ্রামের আবদুল গফুর হাজারীর ছেলে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow