কারাবন্দি নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের পর এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে ‘গণঅবস্থান’ কর্মসূচি পালন করবে জামায়াতে ইসলামী। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ‘গণঅবস্থান’ হবে।
তবে প্রতিবাদ বা গণঅবস্থান যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়, কর্মসূচি ঘিরে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সরকার তেমনটিই প্রত্যাশা করে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন
শফিকুল আলম বলেন, প্রতিবাদ করার অধিকার সবার রয়েছে। উনারা (জামায়াত) প্রতিবাদ করছেন। আমরা চাই প্রতিবাদটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে হউক। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হউক এটা আমরা চাই না।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি বলেছেন, এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হলে তিনি স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবেন। এ বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, এটি আদালতের এখতিয়ার। যেহেতু জুডিসিয়াল সিদ্ধান্তের বিষয়, আদালতই ব্যাপারটি দেখবেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন মঙ্গলবারের (২৫ ফেব্রুয়ারি) কার্যতালিকায় আছে। মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের তালিকার ১৯ নম্বরে আছে।
আরও পড়ুন
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে আপিলেও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল করেন এটিএম আজহার।
এমইউ/এমকেআর/এমএস