নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরার অনুমতি মিললেও পটুয়াখালীর বাজারগুলোতে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশের। নদীতে নেমেও জেলেরা জালে তুলতে পারছেন না আশানুরূপ ইলিশ, ফলে হতাশ তারা।
সরেজমিনে পটুয়াখালী সদর মাছ বাজার, নিউ মার্কেট, পুরান বাজার, নতুন বাজার ও পয়লা পাড় এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের সরবরাহ খুবই কম। যে অল্পসংখ্যক ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তার দামও নাগালের বাইরে। কেজিতে তিনটি ইলিশ ১ হাজার টাকা, চারটি ইলিশ ৭০০ টাকা, পাঁচটি ইলিশ ৬০০ টাকা এবং ছোট আকারের জাটকা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দিনমজুর সোবহান মিয়া বলেন, অবরোধ শেষ হয়েছে ভেবে বাজারে এসেছিলাম, আশা করেছিলাম মাছের উপস্থিতি বেশি থাকবে। কিন্তু মাছ খুবই কম, তার মধ্যে দামও অনেক বেশি। এগুলো আমাদের মতো মানুষের নাগালের বাইরে। তাই আজ চিংড়ি কিনে বাড়ি ফিরছি।
নিউ মার্কেটের মাছ বিক্রেতা হারুন বলেন, সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়ে গেছে। ক্রেতার চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে না। তাছাড়া বাজারে যে ইলিশ আছে, সেগুলোর পেটে এখনো ডিম রয়েছে।

মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের জেলে মো. জসিম বলেন, সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে ২২ দিন ঘরে বসে ছিলাম। এখন নদীতে নামলেও প্রত্যাশিত মাছ পাচ্ছি না।
পায়রা নদীর পাড়ের জেলে ফোরকান মিয়া বলেন, প্রজনন মৌসুমে নদীতে মাছের চলাচল বেড়েছিল, কিন্তু এখন জালে তেমন কিছুই ধরা পড়ছে না। হয়তো পানি ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মাছ এখনো গভীর সাগরে অবস্থান করছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, অবরোধের আগে ৬৯ হাজার ৪৩ জন জেলেকে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে। সরকার পর্যাপ্ত সহযোগিতা করেছে। আজ থেকে জেলেরা নদীতে নেমেছেন। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে ইলিশের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এবং দামও ক্রেতার নাগালে চলে আসবে।
গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনের অবরোধ কার্যকর ছিল। পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮০ হাজার ২০ জন। অবরোধ শেষে শনিবার (২৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে পায়রা, তেঁতুলিয়া, আগুনমুখা পিয়া নদী ও বঙ্গোপসাগরে জেলেরা আবারও মাছ ধরতে নেমেছেন।
হমুদ হাসান রায়হান/আরএইচ

4 hours ago
5









English (US) ·