সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুলিশ্বর বাজারে অবস্থিত বিবদমান ৮ শতক জায়গায় দখলে বাধা দেওয়ার ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ কমপক্ষে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের দুলিশ্বর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের প্রথমে মুমূর্ষু অবস্থায় তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- দুলিশ্বর গ্রামের মৃত আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল মজিদ (৫৫), তার স্ত্রী মোছা. শিরিনা খাতুন (৪০) ও তার ছেলে মো. শামীম হোসেনসহ (২০) ৫ জন।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন তাড়াশ থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, বিষয়টি জেনেছি। শুনেছি আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, উপজেলার দুলিশ্বর গ্রামের মৃত আব্বাস উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল মজিদ দীর্ঘদিন ধরে দুশিশ্বর গ্রামের বাজারে পাঁকা রাস্তার পশ্চিম পাশে প্রায় ৮ শতক জায়গা ভোগ করে আসছেন। ওই জায়গায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছও লাগিয়েছিলেন।
কিন্তু সম্প্রতি ওই গ্রামের নরেন প্রামাণিক ওই জায়গাটি নিজের মালিকানা দাবি করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার অনুগত ৭ থেকে ৮ জনের একটি দখলদার বাহিনী নিয়ে প্রথমে সেখানে থাকা প্রায় ২৫টি গাছ কেটে নিয়ে যান। পরে সেখানে ঘর তুলে দখলের চেষ্টা করেন।
এ খবর পেয়ে পূর্বে থেকে ভোগদখলকারী আব্দুল মজিদ পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের নিয়ে গিয়ে ঘর তৈরিতে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ নরেন প্রামাণিকের নেতৃত্বে তার ছেলে গৌতম প্রামাণিক ও নরত্তম প্রামাণিকসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুল মজিদসহ তার স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠান। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অবশ্য, দখলদার নরেন প্রামাণিক জায়গাটি নিজের দাবি করে বলেন, এ জায়গাটির মালিকানার বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আর পূর্বে কেন সে জায়গা দখল নিতে যাননি এ প্রশ্নে তিনি বলেন, কাগজপত্র সংগ্রহ করতে আমার সময় লেগেছে তাই যাইনি। এখন বৈধ কাগজ আছে তাই গিয়েছি।
আর পূর্বে থেকে ভোগদখলকারী আব্দুল মজিদ বলেন, নরেন প্রামাণিক ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমার বৈধ মালিকানার জায়গা দখল করতে গেছেন। এতে বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন কালবেলাকে বলেন, এ বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।