জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড জিতলেন বাংলাদেশের মোস্তফা

5 days ago 10

বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজের পতাকা উড়ালেন জামালপুরের গুঠাইলের অদম্য সাহসী তরুণ মোস্তাফা আল মোমিন। অদম্য বাংলাদেশের দুর্দম্য এই তরুণ বিশ্বের ১৫১টি দেশকে তাক লাগিয়ে আবুধাবির সম্মানজনক জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ জিতেছেন।

এনার্জি ক্যাটাগরিতে লাইটওয়েট কমার্শিয়াল ইলেকট্রিক ভেহিকেল উদ্ভাবনের জন্য তার প্রতিষ্ঠান ‘পালকি মোটরস’কে এক মিলিয়ন ডলার মূল্যের এই সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ডটি প্রদান করা হয়। 

মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ানের কাছ থেকে আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। 

এর আগে পৃথিবীর ১৫১টি দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পালকি মোটরস তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়। অবশেষে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বেলজিয়াম ও নাইজেরিয়াকে পেছনে ফেলে জুরিদের রায়ে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে। পিনপতন নীরবতার মধ্যে মোস্তফা ও তার প্রতিষ্ঠিত পালকি মোটরসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে উচ্ছ্বসিত মোস্তফা বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিজয়োল্লাস করেন, উপস্থিত দেশি-বিদেশি দর্শকরাও করতালিতে মুখর হয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। 

২০০৮ সাল থেকে আমিরাতের যায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড জটিল প্রতিবেশ বিপর্যয়ের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই উদ্ভাবনী সমাধানকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। 

আল আমিনের যাত্রা শুরু হয়েছিল শৈশবের স্বপ্নের মাধ্যমে। বাংলাদেশের একটি থানার বাইরে ভাঙা গাড়ি দেখে। ২০০৯ সালে ছাত্র থাকাকালীন তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী ইঞ্জিনকে বৈদ্যুতিক মোটরে রূপান্তর করার ধারণাটি মাথায় এনেছিলেন।

জামালপুরে জন্ম নেয়া ৩৫ বছর বয়সি এই তড়িৎ প্রকৌশলী বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম যদি আমি ইঞ্জিনটিকে বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে পারি, তাহলে এটি একটি বৈদ্যুতিক গাড়িতে পরিণত হবে। সেই সময়ে টেসলা বা অন্য কিছু ছিল না।’

মোস্তাফা আল মোমিন আরও জানান, ঢাকার দূষণ মোকাবিলা ও চালকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে অনুপ্রাণিত হন তিনি। তিন বছর আগে খুচরা যন্ত্রাংশ কেনার জন্য মাত্র সাড়ে চার লাখ টাকা পকেটে নিয়ে যাত্রা শুরু করে পালকি মোটরস। বর্তমানে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় প্রতিষ্ঠানটির কারখানা রয়েছে। গত তিন বছরে ৭৫টি গাড়ি বাজারজাত করেছে তারা। মাসে ৮টি পর্যন্ত গাড়ি প্রস্তুত করার রেকর্ড আছে তাদের। চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। পুরস্কারের এই অর্থে গড়ে ১০০টি গাড়ি উৎপাদন করতে সক্ষম হবে তারা।


 

Read Entire Article