ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের (ইশা) সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ইশার প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে। সেখান থেকে ছাত্রদলে যোগ দিয়ে এবার সদস্য পদে নির্বাচন করছেন মাহমুদ হাসান নামের এক ছাত্রদল নেতা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাহমুদ হাসান ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২১ সালের কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হিজাব দিবস পালনের সময় জহু হল ছাত্রলীগ নেতা কামাল উদ্দিন রানার নেতৃত্বে হামলার শিকার হন। ২০২২ সালের শেষ দিকে তিনি ছাত্রদলে যোগদান করেন। ছাত্রদলে যোগ দেওয়ার ফলে ছাত্রলীগ নেতা তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের হাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে হামলার শিকার হন। ২০২৩ সালের ২৫ রমজানেও ইফতারের সময় ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
- ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা: ভিপিপ্রার্থী আবিদুল, জিএস হামিম
- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিন ভাগে বিভক্ত বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়করা
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদের পতন। আমি একটা সংগঠন করতে এবং সে সংগঠনে টপ লিডারশিপের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। কিন্তু যখন মনে হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পতন নিশ্চিতে এ সংগঠন যথেষ্ট নয়। তখন নেতৃত্বের নরম গদির থেকে, ছাত্রদলের রাজপথের কর্মী হওয়াকেই বেছে নিলাম। ছাত্রদলে যোগদানের ফলে ক্যাম্পাস থেকে চিরতরে আউট হয়ে গেলাম। আমরা তখন কেউই জানতাম না আদতেও হাসিনার পতন হবে কি না। এসব কিছুর পরোয়া না করে তারেক রহমানের নেতৃত্বকে বেছে নিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছি। ইনশাআল্লাহ সামনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
এমএইচএ/এসএনআর/এমএস