জিকা ভাইরাসের লক্ষণ কী? প্রতিরোধে করণীয়

3 months ago 22

বর্ষায় নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যার মধ্যে ডেঙ্গু অন্যতম। এছাড়া আছে চিকুনগুনিয়া। একই সঙ্গে বর্ষার মৌসুমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।

মূলত বৃষ্টিপাত, জলাবদ্ধতা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া মশার জন্য আদর্শ প্রজননক্ষেত্র হওয়ায় এ সময় জিকার মতো ভাইরাস ছড়ায়। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরেও ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

জিকা ভাইরাস গর্ভবতীদের মধ্যে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এটি অনাগত সন্তানের মধ্যে মাইক্রোসেফালি (একটি মস্তিষ্কের অক্ষমতা) বা জন্মগত জিকা সিনড্রোম সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়া জিকা ভাইরাস যৌন সংসর্গ, রক্ত ও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এই ভাইরাসের লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়।

জিকা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ কী কী?

>> হালকা থেকে উচ্চ জ্বর
>> কনজেক্টিভাইটিস
>> ত্বকের ফুসকুড়ি/অ্যালার্জি
>> মাথাব্যথা
>> পেশী ও জয়েন্টে ব্যথা
>> বমি বমি ভাব ও বমি
>> দূর্বলতা ইত্যাদি।

জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত। যদি উপরের কোনো উপসর্গ যদি পরিলক্ষিত হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে নিজ থেকে কোনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না। বরং সুরক্ষিত থাকতে প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থা নিন। যেমন-

১. ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে, যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

২. গর্ভবতী নারীদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে, বিশেষ করে সংক্রমিত এলাকায়।

৩. জিকা ভাইরাস থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো মশার কামড়ের ঝুঁকি কমানো। যেহেতু মশা প্রধানত দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।

৪. যেসব পাত্র ও বালতি খালি আছে, তাতে পানি জমে মশা বংশবৃদ্ধি করছে কি না তা পরীক্ষা করুন।

৫. ফুলহাতা জামাকাপড় পরুন, বিশেষ করে বাইরে যাওয়ার সময়।

৬. যদি আপনি এমন এলাকায় থাকেন যেখানে মশার প্রকোপ বেশি সেখানে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখুন ও মশা-মাছি তাড়ানোর জন্য ওষুধ প্রয়োগ করুন।

৭. ফোটানো/বিশুদ্ধ পানি পান করুন, ঘরে তৈরি তাজা খাবার খান ও বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।

৮. জ্বরের চিকিত্সার জন্য অ্যাসপিরিন ব্যবহার করবে না। যদি উপসর্গগুলো দু’দিনের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৯. জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এমন ঘরে থাকতে হবে, যেখানে বায়ু চলাচল করতে পারে।

১০. হাত দিয়ে নাক ও মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন।

১১. যতটা সম্ভব ঘন ঘন হাত ধুতে হবে।

১২. দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের, তারা ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে বেশি ভিড়ের মধ্যে না যাওয়াই ভালো।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/জিকেএস

Read Entire Article