জিহার কাকে বলে?
প্রশ্ন: জিহার কাকে বলে? জিহার করলে কি স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়? উত্তর: ইসলামে জিহার হলো স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হারাম হওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো মাহরাম নারীর সঙ্গে তুলনা করা অর্থাৎ স্ত্রীকে মা, বোন বা এমন কোনো মাহরাম নারীর সাথে তুলনা করা যে নারী তার জন্য চিরস্থায়ীভাবে হারাম। যেমন স্বামী যদি স্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলে, ‘তুমি আমার জন্য হারাম, যেমন আমার মা হারাম’ অথবা বলে, ‘তুমি আমার মায়ের মতো’ বা ‘তুমি আমার বোনের মতো’—তাহলে তা জিহার গণ্য হয়। জিহার করলে স্ত্রী মায়ের মতো চিরস্থায়ীভাবে হারাম হয়ে যায় না এবং স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্নও হয়ে যায় না। তবে জিহার করলে স্বামীর ওপর কাফফারা দেওয়া আবশ্যক হয় এবং কাফফারা দেওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়া হারাম হয়ে যায়। জিহার প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে জিহার করে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মা নয়। তাদের মা তো কেবল তারাই যারা তাদেরকে জন্ম দিয়েছে। আর তারা অবশ্যই অসঙ্গত ও অসত্য কথা বলে। আর নিশ্চয় আল্লাহ অধিক পাপ মোচনকারী, বড়ই ক্ষমাশীল। (সুরা মুজাদালা: ২) জিহারের কাফফারা হলো, প্রথমত: সাধ্য
প্রশ্ন: জিহার কাকে বলে? জিহার করলে কি স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়?
উত্তর: ইসলামে জিহার হলো স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হারাম হওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো মাহরাম নারীর সঙ্গে তুলনা করা অর্থাৎ স্ত্রীকে মা, বোন বা এমন কোনো মাহরাম নারীর সাথে তুলনা করা যে নারী তার জন্য চিরস্থায়ীভাবে হারাম। যেমন স্বামী যদি স্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলে, ‘তুমি আমার জন্য হারাম, যেমন আমার মা হারাম’ অথবা বলে, ‘তুমি আমার মায়ের মতো’ বা ‘তুমি আমার বোনের মতো’—তাহলে তা জিহার গণ্য হয়।
জিহার করলে স্ত্রী মায়ের মতো চিরস্থায়ীভাবে হারাম হয়ে যায় না এবং স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্নও হয়ে যায় না। তবে জিহার করলে স্বামীর ওপর কাফফারা দেওয়া আবশ্যক হয় এবং কাফফারা দেওয়ার আগ পর্যন্ত স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়া হারাম হয়ে যায়।
জিহার প্রসঙ্গে কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে জিহার করে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মা নয়। তাদের মা তো কেবল তারাই যারা তাদেরকে জন্ম দিয়েছে। আর তারা অবশ্যই অসঙ্গত ও অসত্য কথা বলে। আর নিশ্চয় আল্লাহ অধিক পাপ মোচনকারী, বড়ই ক্ষমাশীল। (সুরা মুজাদালা: ২)
জিহারের কাফফারা হলো, প্রথমত: সাধ্য থাকলে একজন মুমিন দাস মুক্ত করা (দাসপ্রথা না থাকায় যা বর্তমান যুগে সম্ভব নয়)। দ্বিতীয়ত: দাস মুক্ত করা সম্ভব না হলে ধারাবাহিকভাবে দুই মাস রোজা রাখা। তৃতীয়ত: ধারবাহিকভাবে দুই মাস রোজা রাখা সম্ভব না হলে ৬০ জন দরিদ্র মানুষকে খাবার খাওয়ানো।
আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে জিহার করে, তারপর তারা যে কথা বলেছে তা প্রত্যাহার করে নেয় তবে পরস্পরকে স্পর্শ করার আগে তাদেরকে একটি দাস মুক্ত করতে হবে, এর দ্বারা তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন। আর যার দাস সংগ্রহ করার সামর্থ্য নেই, সে এক নাগাড়ে দুই মাস রোজা রাখবে পরস্পরকে স্পর্শ করার আগে। আর যে তা করতে পারবে না, সে ষাট জন মিসকিনকে খাবার খাওয়াবে। এ বিধান এ জন্য যে, তোমরা যাতে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ইমান আন। আর এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা এবং কাফেরদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। (সুরা মুজাদালা: ৩, ৪)
ওএফএফ
What's Your Reaction?