জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ কাজ
সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমার দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে এ দিনকে বলা হয়েছে ‘ইয়াউমুল জুমা’ বা ‘জুমার দিন’। ‘জুমা’ নামে কোরআনে একটি সুরাও রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ। আল্লাহতায়ালার কাছে এ দিনটি অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪)। এ দিন আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে মসজিদে প্রবেশ করা মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে শিগগির ধাবিত হও। ক্রয়-বিক্রয় ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ দিনে ফজিলতপূর্ণ কিছু আমলের কথা বলেছেন। এখানে পাঁচটি আমল উল্লেখ করা হলো: পরিচ্ছন্নতা ও পরিপাটি হওয়া: মেসওয়াক, গোসল, উত্তম পোশাক পরিধান, সুগন্ধি ব্যবহার ও জুমার নামাজ আদায় করা সুন্নত। মেসওয়াক করা রাসুল (সা.)-এর অন্যতম সুন্নত। তিনি প্রতিদিন মেসওয়াক করতেন। মেসওয়াক করা পছন্দ করতেন। মৃত্যুর আগেও তিনি মেসওয়াক করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরবে এবং সুগন্
সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমার দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে এ দিনকে বলা হয়েছে ‘ইয়াউমুল জুমা’ বা ‘জুমার দিন’। ‘জুমা’ নামে কোরআনে একটি সুরাও রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ। আল্লাহতায়ালার কাছে এ দিনটি অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪)। এ দিন আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে মসজিদে প্রবেশ করা মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে শিগগির ধাবিত হও। ক্রয়-বিক্রয় ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ দিনে ফজিলতপূর্ণ কিছু আমলের কথা বলেছেন। এখানে পাঁচটি আমল উল্লেখ করা হলো:
পরিচ্ছন্নতা ও পরিপাটি হওয়া: মেসওয়াক, গোসল, উত্তম পোশাক পরিধান, সুগন্ধি ব্যবহার ও জুমার নামাজ আদায় করা সুন্নত। মেসওয়াক করা রাসুল (সা.)-এর অন্যতম সুন্নত। তিনি প্রতিদিন মেসওয়াক করতেন। মেসওয়াক করা পছন্দ করতেন। মৃত্যুর আগেও তিনি মেসওয়াক করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে; এরপর জুমার নামাজে এসে অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না গিয়ে নির্ধারিত জায়গায় নামাজ আদায় করবে; ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ থাকবে; আল্লাহতায়ালা তার দুই জুমার মাঝের গুনাহ (সগিরা) ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫৭)
দ্রুত মসজিদে যাওয়া: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আসা মুসল্লিদের নাম লেখেন। যিনি সবার আগে মসজিদে আসেন তিনি একটি মোটাতাজা উট কোরবানির সওয়াব লাভ করবেন। এভাবে এরপরে আসা ব্যক্তি গাভি কোরবানি করার এবং এরও পরে আসা ব্যক্তি মুরগি দানকারীর মতো সওয়াব পাবেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯২৯)
বেশি বেশি দরুদ পড়া: মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়া মুসলমানের ওপর ওয়াজিব। দরুদ পড়ার মাধ্যমে অনেক ফজিলত অর্জন করা যায়। প্রিয় হওয়া যায় রাসুল (সা.)-এর। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এই দিনে শিঙায় ফুঁক দেওয়া হবে। এই দিনে সব সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব, তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়ে থাকে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৭)।
মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে জুমার দিন ভালো করে গোসল করে দ্রুততর সময়ে মসজিদে গেল ও (ইমামের) কাছাকাছি বসে মনোযোগসহ (খুতবা) শুনল, তার জন্য প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব থাকবে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৫)।
দোয়া করা: দোয়া মুমিনের ঢাল। এতে আল্লাহ খুশি হন। তিনি বান্দার ডাক শোনেন। তার দোয়া কবুল করেন। এদিন বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহতায়ালার কাছে যে দোয়া করবে, আল্লাহ তা কবুল করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১০৪৮)
লেখক: মাদ্রাসা শিক্ষক
What's Your Reaction?