মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে একটি বিশেষ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে। ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্ক: তরুণদের ক্ষমতায়ন ও সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এ আয়োজনে অংশ নেন দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর, ডেপুটি-রেক্টর এবং শিক্ষকরা।
বুধবার (৬ আগস্ট) তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান ডিপ্লোম্যাট ইউনিভার্সিটির রেক্টর ড. উমিদ মাহামুদভ এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমি ও ডিপ্লোম্যাসির ডেপুটি রেক্টর ড. মোজাফফর জালালভ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের পেছনে তরুণ ও ছাত্রসমাজের একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে একটি বৈষম্যহীন, সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের দৃঢ় সংকল্পের কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে দুই দেশের তরুণদের শক্তি, মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানো উচিত। তিনি জানান, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি, ওষুধ, বস্ত্র, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি—এমন বিভিন্ন খাতে দুই দেশের তরুণদের একসাথে কাজ করার সুযোগ আছে। তিনি দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ‘শিক্ষার্থী বিনিময়’ কার্যক্রম শুরুর আশাও প্রকাশ করেন।
এদিন উজবেকিস্তান আর্ট অ্যাকাডেমির তরুণ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ: তারুণ্যের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক একটি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আর্ট অ্যাকাডেমির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও সেদেশের অ্যাকাডেমিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা দূতাবাসে ‘জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস’ শিরোনামে আয়োজিত ছবিগুলো ঘুরে দেখেন।
কেএইচকে/জিকেএস