জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে তিনি ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’র নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, গণপূর্ত সচিব আদিলুর রহমান খান, সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং জাদুঘর বাস্তবায়ন কমিটির অন্য সদস্যরা।
এর আগে বহুল প্রতীক্ষার পর জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ঘোষণাপত্রে তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।
ঘোষণাপত্রে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত জুলাইযোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সব আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে।
ঘোষণাপত্রের ২৪ পয়েন্টে জুলাইযোদ্ধাদের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে প্রয়োজনীয় সব আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।
এছাড়াও, ঘোষণাপত্রের ১৬ ও ১৭ নম্বর পয়েন্টে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালায়। যার ফলে সারাদেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। অগণিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেন এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন করেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
এমইউ/এএমএ/জেআইএম