জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে ছাত্রশক্তির অবস্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষক সিন্ডিকেট, জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষক ও পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের অবিলম্বে বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাবি শাখা ছাত্রশক্তির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিন হোসেনসহ ছাত্রশক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন জানান, আমার চতুর্থ বর্ষের রিপোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। আমি এবং আমার সুপারভাইজার ড. মনির হাসান খান প্রশাসনের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্টটি পুনরায় মূল্যায়নের সুপারিশ করে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পর রেজাল্টে উন্নীত হয়। এরই মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ না করায় প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থন

জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে ছাত্রশক্তির অবস্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষক সিন্ডিকেট, জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষক ও পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের অবিলম্বে বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাবি শাখা ছাত্রশক্তির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিন হোসেনসহ ছাত্রশক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচিতে পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন জানান, আমার চতুর্থ বর্ষের রিপোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। আমি এবং আমার সুপারভাইজার ড. মনির হাসান খান প্রশাসনের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্টটি পুনরায় মূল্যায়নের সুপারিশ করে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পর রেজাল্টে উন্নীত হয়। এরই মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ না করায় প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।

এসময় তিনি আগামীকালের সিন্ডিকেট সভায় জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানায়। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীকে এমন অন্যায় না করতে পারে।

বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি জাবি শাখার সংগঠক জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আমলে নিচ্ছে না এবং গড়িমসি করছে। উপাচার্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়েতে চাই, আপনাদেরকে নুরুল আলমের প্রশাসনের মতো কাজ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরো বলেন, অভ্যুত্থানের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই হামলায় মদতদাতা শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছা করেই বিচার বিলম্বিত করছে। জাতীয় নির্বাচনের পরে দলীয় সরকারের প্রভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য।

মো. রকিব হাসান প্রান্ত/কেএইচকে/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow