জেলায় পাঁচ সাব-রেজিস্ট্রারের তিন পদই শূন্য

2 hours ago 6

জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলার তিনটিতেই নেই সাব-রেজিস্ট্রার। দুজন সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে করানো হচ্ছে পাঁচ উপজেলার জমি বেচাকেনা ও দলিল নিবন্ধন এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রেশনের কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা।

জানা গেছে, জেলা সদর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে দুজন কর্মরত রয়েছেন। ক্ষেতলাল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এখানে দুদিন কাজ করেন এবং কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলায় সপ্তাহে তিন দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। আর সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পাঁচবিবি উপজেলায় সপ্তাহে দুদিন দলিল নিবন্ধনের কাজ করেন।

দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ওই তিন উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদ শূন্য রয়েছে। ফলে যথাসময়ে জমি বেচাকেনার কাজ করতে গিয়ে দলিল নিবন্ধ করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

একটি ব্যাংকের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার (আইনজীবী) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জেলার তিন উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে কোনো কর্মকর্তা নেই। জেলার অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসার স্বার্থে তাদের জমি ব্যাংকে মর্টগেজ (বন্ধক) রেখে ঋণ নেন। এতে অনেক সময় নিবন্ধন করতে দেরি হওয়ায় দ্রুত ঋণ পেতেও সময় লাগে। সদর উপজেলা জুয়েল রানা ও ক্ষেতলালে কর্মরত রয়েছেন সামিউল হাসান।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার জুয়েল রানা জানান, দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর থেকে তিন উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার নেই। তিনি সদর ও পাঁচবিবি উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। ক্ষেতলাল উপজেলার সামিউল হাসান তিনটি উপজেলার দায়িত্ব পালন করছেন। জেলায় তিনটি পদ শূন্য থাকায় তাদেরও কষ্ট হচ্ছে। জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে তিন উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের জন্য মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) বরাবর একাধিকবার আবেদন দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাধিক দলিল লেখক জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সমর্থিত দলিল লেখকের একটি গ্রুপ জমির ক্রেতাদের জিম্মি করে সমিতির নামে দলিল প্রতি অতিরিক্ত কিছু টাকা আদায় করত। বর্তমানে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। আবার যে নতুন কোনো সিন্ডিকেট তৈরি না হয়, দ্রুত সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিলে ভালো হয়। আর যেন সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে।

আক্কেলপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক আবু হাসান মোবাইল ফোনে জানান, আক্কেলপুরে সপ্তাহে এক দিন সাব-রেজিস্ট্রার বসেন। চার দিন তাদের কোনো কাজ থাকে না। আর এক দিন কাজের চাপ বেশি পড়ায় অনেক সময় সন্ধ্যা ও রাত হয়ে যায়।

রাজশাহী বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির সহসভাপতি ও জয়পুরহাটের দলিল লেখক নূরুল ইসলাম বলেন, আগের সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। এখন আগের চেয়ে পরিবেশ ভালো।

জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল বারী মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, তিনটি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের বিষয়টি প্রতি মাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কালাই উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে একজনকে সেখানে পোস্টিং দেওয়া হয়। তবে তিনি যোগদান করেননি। আশা করছি দ্রুত নিয়োগ হতে পারে শূন্য পদগুলোয়।
 

Read Entire Article