সিদ্ধার্থ শংকর জোর্য়াদ্দার
শুরুতেই একটা কথা না বললেই নয়, আমাদের দেশের উচ্চ মার্গের লাকাঁনীয় পণ্ডিতদের কাছে লাকাঁর কথা যতটুকু শোনা যায় বা বোঝা যায়, তা তাদের অন্য কথার ভার্ববসিটিতে লাকাঁ ঢাকা পড়ে যান। লাকাঁর দুর্ভাগ্য, এই দেশে তিনি এমন কিছু মানুষের হাতে বন্দি হয়ে আছেন; যাঁদের অতি পাণ্ডিত্যের নাট্যময়তায় সাধারণেরা অসাড় হয়ে পড়েন! বুঝতে পারা কঠিন হয়ে ওঠে লাকাঁর মূলকথা কোনটা! অনেকের মাঝে জ্যাক লাকাঁর দার্শনিক অবস্থান নিয়ে বেশ অস্বস্তিও দেখা যায়। কিছু মানুষ তাঁকে আধুনিক আবার কিছু মানুষ তাঁকে উত্তর-আধুনিক চিন্তার অবধারিত ফসল মনে করেন। তবে লাকাঁর পৌনঃপুনিক পাঠান্তে তাঁকে উত্তর-আধুনিক চিন্তার মনঃসমীক্ষক না বলে উপায় নেই। বিশ শতকের দর্শন ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের এক নতুন পথের দিশারী হিসেবে তাঁকে আধুনিক বলা হয়; কিন্তু তিনি উত্তর-কাঠামোবাদের বহুমুখী স্রোতে ভেসে ফ্রয়েডীয় মনঃসমীক্ষণকে যেভাবে ব্যাখ্যা ও তার পুনর্ব্যবহার করেছেন তাতে তিনি ভীষণভাবে উত্তর-আধুনিক। লাকাঁ মুখ্যত প্রশ্ন তুলেছেন মানুষের মনজাগতিক বিশ্ববীক্ষার গ্র্যান্ড নেরেশনের বিরুদ্ধে। দেখাতে চেয়েছেন এটি কোনো অপরিবর্তনীয় অনড় কিছু না বরং মানুষের অবচেতন জগত কীভাবে ভাষার গতিময়তায় নতুন রূপ লাভ করে, সেটাই বিবেচ্য। মানুষের চিন্তা ও মনন কোনো উদ্দেশ্যমুখীন নয়, নয় নিশ্চল, স্থাণু বরং তা পরিবর্তনের এক বিপুল স্রোতানুসারী। তাই মানুষের চলমান সাংস্কৃতিক চেতনা তাঁদের বোধভাষ্যি নির্ধারণ করে থাকে।
জ্যাক লাকাঁ (১৯০১-১৯৮০) বলতে গেলে বাঙালিদের কাছে প্রায় অশ্রুত। খুব সীমিত পরিসরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের বাইরে আমজনতার কাছে তিনি খুবই কম পরিচিত, যার দরুণ আজ পর্যন্ত সাধারণের কাছে লাকাঁ অধরাই রয়ে গেছেন। এর বিশেষ কারণ লাকাঁর রচনার দুর্বোধ্যতা, সাথে সাথে ফরাসি ভাষা থেকে ইংরেজি কিংবা বাংলায় তর্জমার বিড়ম্বনা। আমাদের দেশে লাকাঁর ওপর পূর্ণাঙ্গ কোনো বাঙলা রচনা চোখে পড়েনি। লাকাঁ সম্পর্কে যতটুকু যা জানা যায়, সেটা কিছুটা ফেসবুকীয় লেখক থেকে, কিছুটা বিদেশি ইউটিউবের ভাষ্য থেকে। লাকাঁর বিপুল রচনা সম্ভার বাঙলা ভাষায় অনূদিত হলে হয়তো এই ধোঁয়াশা থাকতো না।
বাংলা ভাষায় খুব বেশি লাকাঁ চর্চা না হওয়ার কারণে সাধারণের এই দুর্বহতা। যার ফলে লাকাঁ মধ্যচিত্তের মানসপটে বহিরাগতই থেকে গেছেন। এটা সত্যি, চিন্তার কোনো বিষয় যখন গণপাঠ না হয়ে শুধু বড়লোকের কাছে একঘরে হয়ে থাকে; সেখানে ভুল-নির্ভুল যাচাই করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। আমাদের দেশে মার্কসবাদী দর্শন এককালে অল্প কিছু চুল ঝাঁকড়া মানুষের নিজস্ব সম্পত্তি ছিল কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে প্রবেশের পরে এটা যে গণচিন্তা, সেটা প্রকাশিত হয়। এ দেশে এককালে লাল বই খ্যাত মার্কসবাদী বইগুলো ছিল অত্যন্ত ভয়ংকর, গ্রামে গ্রামে তল্লাশি চলতো, ধরে নিয়ে যেতো বই পড়ুয়াদের আইন-শৃঙ্খলার লোকেরা। কিন্তু আশির দশকের শেষের দিকে মার্কসবাদী চিন্তা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য হয়ে উঠলো; তখন বোঝা গেলো এটা পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষের চিন্তার অব্যর্থ দলিল। সে জন্য যে কোনো চিন্তাই হয়ে উঠতে হয় গণমুখী। লাকাঁকে গণমুখী করার জন্য বাংলা ভাষায় তাৎপর্যপূর্ণ চেষ্টা বলতে গেলে একজনবাদের বাদে কারো নেই। তিনি হলেন অমলবাবু মানে অমল বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম বাংলার হুগলি জেলার অমলবাবু ইংরেজি সাহিত্যের মানুষ হলেও দর্শনের ওপর গভীর জ্ঞান রাখতেন। ফরাসি দর্শন ও সাহিত্য নিয়ে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন ফ্রান্সে গিয়ে। অমল বন্দ্যোপাধ্যায় ‘উত্তর-আধুনিক চিন্তা ও কয়েকজন ফরাসি ভাবুক’ নিয়ে যে বই লিখেছেন; সেটাই বোধকরি লাকাঁ চেনার একমাত্র উপায়। এ বাদে অন্যান্য উৎস থেকে যা বোঝার চেষ্টা করা যায়, সেখানে অনেকটা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার মতো ব্যাপার। আসলে লাকাঁ বোঝার জন্য একটা ফাউন্ডেশন লাগবে, এই ফাউন্ডেশন তৈরি করে দিয়েছেন তাঁরই গুরু বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড।
জ্যাক লাকাঁ ফ্রয়েডকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন আমাদের কাছে। লাকাঁ ফ্রয়েডের অবচেতনকে ভাষার কাঠামো দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি মনে করেন, ফ্রয়েডের অবচেতন এবং ভাষার গঠন একই রকম। তিনি সত্যিকার অর্থে ফ্রয়েডকে আমেরিকান মনোবিজ্ঞানের সরলীকরণ থেকে উদ্ধার করেছেন এবং নতুনভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন, যা তাঁর ধারণাকে আরও গভীর ও জটিল করে তুলেছে। যারা সিগমন্ড ফ্রয়েড সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তাদের অবস্থা অবশ্য কিছুটা কলকাতা গিয়ে লন্ডনের সাধ মেটানোর মতো ব্যাপার হবে। লাকাঁর পাতা উল্টালে ফ্রয়েডের জলছাপ পাওয়া যায়। অর্থাৎ যে আয়নাতে আমরা লাকাঁর ছবি দেখি; সেই আয়নার পেছনে ফ্রয়েড লুকিয়ে আছেন। তবে তাঁদের ভেতর কিছু চৈন্তিক তারতম্য আছে বৈ কি! ফ্রয়েড মোটা দাগে বলা যায় যেখানে মনস্তাত্ত্বিক কাঠামোর ওপর জোর দিয়েছেন; সেখানে জ্যাক লাকাঁ তাঁর তত্ত্বে ভাষাগত কাঠামো এবং বাসনার ওপর দিয়েছেন সমধিক গুরুত্ব। এ জন্য অনেকেই বলে থাকেন ফ্রয়েড দেহবাদী আর জ্যাক লাকাঁ দেহাত্বভাষাবাদী। তবে পশ্চিমা দুনিয়ায় দুজনেই প্রচণ্ড জনপ্রিয়। ফ্রান্স কিংবা আমেরিকায় লাকাঁর গ্রহণযোগ্যতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্রয়েড নিয়ে মানুষের মাঝে কিছুটা লুকোচুরি থাকলেও লাকাঁর গ্রহণযোগ্যতা গগনচুম্বী। ফ্রয়েড ও লাকাঁর ভাবনার বিষয়বস্তু একেবারে এক না হলেও দুজনেই মানুষের মনের দৃষ্টি অদৃষ্টি নিয়ে ভেবেছেন। লাকাঁ অদৃষ্টি থেকে পৌঁছেছেন অদৃষ্টে, যেখানে ফ্রয়েড ছিলেন অজ্ঞান বা অবচেতনে। ফ্রয়েড ও লাকাঁর মধ্যে সম্পর্ক ছিল অনেকটা দ্রোণাচার্য আর অর্জুনের মতো। যদিও কেউ কাউকে দেখেছেন মর্মে প্রমাণাদি নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথেও ফ্রয়েডের একটা সখ্য ছিল। ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ভিয়েনা গেলে ফ্রয়েডের সাথে দেখা হয়, কথা হয়। বিখ্যাত সাহিত্যিক রাজশেখর বসুর ভাই গিরিশচন্দ্র বসুর কল্যাণে রবীন্দ্রনাথ ফ্রয়েডের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। গিরিশচন্দ্র ছিলেন বিখ্যাত মনোচিকিৎসক এবং ইন্ডিয়ান সাইকো-অ্যানালিটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা। এ কারণেই গিরিশবাবুর সাথে ফ্রয়েডের যোগাযোগ ছিল।
জ্যাক লাকাঁকে মনোচিকিৎসক বলাটা যুক্তিসঙ্গত হবে কারণ তিনি মুখ্যত মানসিক রোগ তথা মনোবৈকল্য নিয়ে ভেবেছেন। তবে সত্যি বলতে কি তাঁর চিন্তা এতটাই প্রসারিত ছিল যে চিকিৎসাশাস্ত্র ছাড়াও সমাজভাবনা, সাহিত্য, দর্শন, নারীবাদ, নৃতত্ত্ব এমনকি অর্থনীতির ওপরেও তাঁর প্রভাব আছে। লাকাঁকে উত্তর-আধুনিক ভাবুকদের কাতারে ফেলা হয়েছে কারণ, তিনি কাঠামোগত ভাষাতত্ত্ব ব্যবহার করে ফ্রয়েডের মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন সাথে সাথে ‘আমি’ বা ‘অহং’-এর ধারণাটিকে একটি স্থির সত্তা হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। লাকাঁর মধ্যে দুটো বিপরীতমুখী চিন্তার সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়। তিনি সস্যুর এবং লেভি-স্ট্রস-এর মতো কাঠামোবাদী চিন্তাবিদদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, কিন্তু একই সাথে আবার জ্যাক দেরিদার উত্তর-কাঠামোবাদী ধারণাকেও প্রভাবিত করেছিলেন। লাকাঁর বিশেষত্ব হলো, তিনি ভাষাকে অবচেতনের গঠন হিসেবে বিবেচনা করেন এবং ফ্রয়েডের কাজের একটি নতুন ভাষাতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেন।
তবে এটা ঠিক, লাকাঁ জটিল ও বিমূর্ত ভাষা দিয়ে নিজেই নিজেকে অস্পষ্ট করে তুলতেন। হেঁয়ালি কিংবা ধাঁধার ব্যবহারের মাঝ দিয়ে নিজেকে রহস্যময় করে তোলা ছিল তাঁর অভ্যেস। অনেকেই লাকার এই দুর্বোধ্যতায় ক্লান্ত ছিলেন, পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর গবেষণালব্ধ প্রধান কাজ ছিল এক্রি যার অর্থ লেখা। ৫৩টি দীর্ঘ প্রবন্ধের সংগ্রহ নিয়ে এক্রিস্ট প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে। এগুলো সবই তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চিত জ্ঞান। লাকাঁ সম্পর্কে একটা কথা শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া ভালো, তাঁকে অনেকেই দার্শনিক হিসেবে মানতে রাজি না, বিশেষ করে জিল দল্যুজ এবং গাত্তারি এমনকি লুইস ইরিগেরি প্রমুখরা তাঁকে সাংঘাতিক সমালোচনা করেছেন। হাল আমলের ভাষা দার্শনিক নোয়াম চমস্কি তাঁকে হাতুড়ে ডাক্তার এবং বাগাড়ম্বরকারী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তবে এটা অস্বীকার করার মতো কিছু ঘটেনি যে, তাঁর অনন্যতা আমাদের নতুন করে চিন্তার পথ দেখিয়েছে, দেখিয়ে যাচ্ছে।
জ্যাক লাকাঁ জন্মেছিলেন ১৯০১ সালে প্যারিসে। জন্মেছিলেন সম্পূর্ণ ক্যাথলিক পরিবারে। মাধ্যমিক শেষে তিনি প্রথমে চিকিৎসা এবং পরবর্তীতে মনোরোগবিদ্যার ওপর পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৩২ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন এবং কিছুদিনের মধ্যে La Societe Psychoanalytique de Paris-এর সদস্য পদ পান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত তিনি এখানে গবেষণা করতে থাকেন। কিন্তু নাজিরা ফ্রান্স আক্রমণ করলে লাকাঁ সব ধরনের গবেষণা থেকে সরে যান। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার যুদ্ধ শেষে তিনি সাংঘাতিক এক বিতর্কের মুখে পড়েন। যার ফলে অচিরেই তিনি আন্তর্জাতিক মনঃসমীক্ষণবাদীদের বিরোধিতার মুখোমুখি হন। মনঃসমীক্ষণবাদের ওপর উচ্চতর গবেষণার জন্য ১৯৬৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন L’Ecole Freudienne de Paris। আগেই উল্লেখ করেছি, ১৯৬৬ সালে তাঁর এক্রি প্রকাশিত হলে ফরাসি বুদ্ধিজীবী মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। ১৯৮১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আশি বছর বয়সে প্যারিসে মারা যান লাকাঁ। লাকাঁর কর্মজীবন ফ্রয়েডময়। ফ্রয়েডকে নতুনভাবে, নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি, অনেকটা গৌড়ের কবির কথায়, ‘বহু পুরাতন ভাব নব আবিষ্কার’। যা-ই হোক, লাকাঁকে বুঝতে তাই ফ্রয়েডের দিকে হাত বাড়াতে হবে।
>> ফ্রয়েডের কথা
আপনাদের হয়তো মনে থাকবে লালনের গানের কয়েকটি কথা, ‘আপন ঘরের খবর নে না। অনা’সে দেখতে পাবি/ কোনখানে সাঁইর বারামখানা।’ নিজের ঘরের কথা জানার জন্য মানুষের ব্যাকুলতা সীমাহীন। সেই কবে, সক্রেটিস বলছেন, ‘নিজেকে জানো’। তাঁর বহু আগে শাস্ত্রে বলেছে, ‘আত্মনং বিদ্ধি’-নিজের আত্মাকে জানতে হবে। কিন্তু নিজের ঘরের কথা জানার কী উপায়? নিজেকে চেনার কি কোনো যুতসই মাধ্যম আছে? হয়তো আছে। মানুষের মনের মধ্যে যে অসীম রহস্য আছে, তাকে দিনের আলোয় পরিষ্কার করে তুলতে যারা মন-সমুদ্রে ডুব দিয়েছেন; তাঁদের মধ্যে অস্ট্রিয়ান সাইকোঅ্যানালিস্ট ও চিকিৎসক সিগমন্ড ফ্রয়েডের নাম সবার আগে আসে। ফ্রয়েডের খ্যাতি অখ্যাতি দুটোই আছে। তিনি মানুষের মনের গোপন প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে থাকা অদ্ভুত সব বিষয়গুলো বের করে এনেছেন ধীরে ধীরে। এমনকি সমাজ ও নৈতিকতার মানদণ্ডে অসমর্থনীয় অনেক কথাও তিনি বলে গেছেন চরম ঝুঁকি নিয়ে। সেটা কতটুকু ঠিক বেঠিক তার মূল্যায়ন আমরা করতে চাই না এ মুহূর্তে। তবে তাঁর একান্ত অনুসারী যোগ্য শিস্য ‘ফরাসি ফ্রয়েড’ নামে পরিচিত জ্যাক মারি এমিল লাকাঁ নিয়ে আমাদের কথা।
চলবে...
আরও পড়ুন
আমি আমার মতো করে চলেছি: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
লালন শাহ: সময়ের আয়নায় আশ্চর্য দীপ্তি
এসইউ/এমএস

 6 hours ago
                        6
                        6 hours ago
                        6
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·