ঝিল ভরাট করে রামপুরা থানা ভবন নির্মাণ বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

7 hours ago 9

রাজধানীর মালিবাগে ঝিলের জায়গায় রামপুরা থানা ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (২ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মেরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজামী।

মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে বলেন, মালিবাগে একটি জলাধারের (চৌধুরীপাড়ার ঝিল) ৫০ শতাংশ জমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রামপুরা থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়। গত ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর জনস্বার্থে এ সংক্রান্ত রিট আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

তিনি বলেন, রিটের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় আবেদন করলে সে পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার মৌখিক নির্দেশনা দেন আদালত এবং ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেলকে তা নিশ্চিত করতে বলেন। জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন যে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুনানিতে মনজিল মোরসেদ জানান, ১৯৯৫ সালের পরিবেশ আইন, ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০১৩ সালের পানি আইন ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮(এ)-এর বিধান অনুসারে জলাধার ভরাট নিষিদ্ধ থাকলেও তা উপেক্ষা করে বেআইনিভাবে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া ঝিলের একটি অংশে থানা ভবন নির্মাণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন সময় পরিবেশ রক্ষায় জলাধার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও মন্ত্রণালয় জলাধার ভরাটের জন্য লিজ দিয়েছে। যে কর্মকর্তারা এ ধরনের লিজ দিয়েছেন তারা শুধু আইনের পরিপন্থী কাজ করেছেন তা নয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

রিট আবেদনটি করেছেন এইচআপিবির পক্ষে আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া ও সঞ্জয় মণ্ডল। এতে বিবাদীরা হলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিবসহ মোট ৯ জন।

এফএইচ/একিউএফ/জিকেএস

Read Entire Article