অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে বসবাস করা প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়বে। একটি জলবায়ু প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে এ অঞ্চল ডুবে যেতে পারে। খবর বিবিসি
অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট ন্যাশনাল জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়নের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহ, খরা এবং দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী ক্রিস বোয়েন বলেন, অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমরা এমন সব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর প্রভাব থেকে কিছু রক্ষা করবে।
ওই প্রতিবেদনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের তিনটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, উষ্ণয়ন কোথাও ১.৫, ২ এবং ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। অস্ট্রেলিয়াতে ইতোমধ্যে উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, তাপমাত্রা যদি ৩ ডিগ্রি বৃদ্ধ পায় তাহলে সিডনিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ শতাংশ অতিক্রম করবে এবং মেলবোর্নে তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো অস্ট্রেলীয় সম্প্রদায়ই জলবায়ু ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবে না। এটি ধাপে ধাপে ছড়িয়ে পড়বে। এতে সতর্ক করা হয়েছে, তাপপ্রবাহ-সম্পর্কিত মৃত্যু আরও বাড়বে, ভয়াবহ বন্যা ও দাবানলের কারণে পানির মান খারাপ হবে এবং সম্পত্তির মূল্য ৬১১ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার কমে যাবে।
উত্তর অস্ট্রেলিয়ার অঞ্চলসমূহ, দূরবর্তী সম্প্রদায় এবং বড় শহরের বাইরের উপশহরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া এটি স্বাস্থ্য, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, প্রাকৃতিক প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্র এবং প্রাথমিক শিল্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। পাশাপাশি এটি জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।