নির্বাচন কমিশন (ইসি) কীভাবে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ইসিতে রুমিন ফারহানার কর্মীরা এনসিপির এক নেতাকে মারধর করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, টকশোতে বড় বড় সুশীলতা দেখানো যায়, লেকচার দেওয়া যায়। কাজ দিয়ে প্রকাশ পায়- কে সুযোগ পেলে আবার আগের পথে হাঁটবে আর কে সংশোধন হবে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির শুনানিতে নির্বাচন কমিশনে হওয়া মারামারির পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, একদিকে রুমিন ফারহানার পোষ্য কর্মীরা এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে শারীরিকভাবে আঘাত করছে আর অন্যদিকে রুমিন ফারহানা গাল মুখ ফুলিয়ে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও আইনজীবী ভাব নিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে দেখেও না দেখার ভান করছে।
- আরও পড়ুন
- ইসির শুনানিতে বিএনপির দুই পক্ষের ‘মারামারি’
সিইসির সামনে বিএনপি-এনসিপি নেতাকর্মীদের হাতাহাতি
সারজিস বলেন, টকশোতে বড় বড় সুশীলতা দেখানো যায়, লেকচার দেওয়া যায়। কাজ দিয়ে প্রকাশ পায়- কে সুযোগ পেলে আবার আগের পথে হাঁটবে আর কে সংশোধন হবে।
ইসিতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে মারামারির একটি ভিডিও আপেলোড করে সারজিস ওই পোস্টে লেখেন, ইসি অফিসে আপিল শুনানিতে যোগ দিতে এসে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানার কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন। তার অপরাধ শুধু সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরোধিতা করে আপিল করা।
বিএনপি কি আওয়ামী লীগের চরিত্রে ফিরতে চায়? জোর যার মুলুক তার বানাতে চায়?
এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না উল্লেখ করে সারজিস লেখেন, ইসির ভেতরেই একজন শীর্ষ নেতার নিরাপত্তা যদি নিশ্চিত না করা যায় তাহলে এই অথর্ব ইসি কীভাবে সারা বাংলাদেশে অন্য দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন করবে?
এএমএ/জেআইএম