গাজীপুরের টঙ্গীতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক নেতার ওপর ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বাঁশপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম ফজলে রাব্বি (১৯)। তিনি তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং মাদ্রাসাটির একটি ওয়ার্ডের ছাত্রশিবিরের সভাপতি।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন ফজলে রাব্বি। এর জের ধরে ছাত্রদল কর্মী পরিচয়ে ভূঁইয়া মামুন (২০) তাকে ডেকে নেন। পরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন ফজলে রাব্বিকে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার প্রতিবাদে মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেমে আসেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মীরন বলেন,ভূঁইয়া মামুন নামে ছাত্রদলে কেউ আছে বলে আমি জানি না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তবুও বিষয়টি আমরা গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি। যদি কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।