শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাচটিই হতে পারতো টাইগারদের সুপার ফোরে ওঠার সিঁড়ি। পারলো না বাংলাদেশ। বড় হারে এশিয়া কাপের দ্বিতীয়পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই ধূসর হয়ে গেছে। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও রানরেটের মারপ্যাঁচে পড়তে হবে লিটন দাসদের।
বাংলাদেশের লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার জাকের আলী স্বীকার করেছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচে বাংলাদেশের টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে, যার ফলে তারা বোর্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রান তুলতে পারেনি দল।
এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে। ১৪.৪ ওভারেই ১৪০ রানের লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে ফেলে তারা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো তারা শূন্য রানে দুই উইকেট হারায়। মিডলঅর্ডারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলে এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫৩।
সেখান থেকে জাকের আলী (৪১*) এবং শামীম পাটোয়ারী (৪২*) মিলে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে দলকে ১৩৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। কিন্তু সেটি মোটেই চ্যালেঞ্জিং পুঁজি ছিল না।
জাকের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দুষেছেন টপঅর্ডার ব্যাটারদের। তার মতে, টপঅর্ডারে সঠিক পরিকল্পনার অভাব ছিল।
জাকের বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের দলের জন্য ওপেনার এবং নাম্বার থ্রি ব্যাটার খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিষয়টি ভালোভাবেই জানি এবং তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে পাওয়ারপ্লেতে প্রতি বলে চার-ছক্কা মারতেই হবে। স্ট্রাইক বদলানো, রান নেওয়া; এসব মাথায় রাখতে হবে। আমি নিশ্চিত তারা এটা ভাববে এবং পরের ম্যাচে ভালো করবে।’
পাওয়ার প্লেতে কেন এমন ব্যর্থ টপঅর্ডার। জাকেরের সেই উত্তর জানা নেই। বললেন, ‘ওই (পাওয়ারপ্লেতে ব্যর্থ হওয়া) ব্যাপারটা আসলে টপ-অর্ডার ব্যাটাররাই ভালো বলতে পারবে। তবে আমার মনে হয় আমরা যদি সঠিক পরিকল্পনা করতাম এবং শুরুতে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আরও মনোযোগী হতাম, তাহলে ভালো হতো।’
‘ব্যাটিং ইউনিট মানে সবাই। আমি বা (শামীম) পাটোয়ারী ভালো খেলেছি বলেই কেবল আমরা ভালো কিছু করে ফেলেছি; এমন নয়। একসঙ্গে আমরা খারাপ খেলেছি, আর একসঙ্গেই হেরেছি।’
জাকের আরও বলেন, আবুধাবিতে প্রচুর বাতাস ছিল। ফলে উইকেটের দুই পাশ থেকেই সহজে রান তোলা সম্ভব নয়। সেই বিষয়টিও ব্যাটারদের মাথায় রাখা উচিত ছিল, ‘এটা মাথায় রাখতে হবে। দুই পাশেই অবাধে মারা যায় না। এক পাশে বেশি খেলতে হবে, আর অন্য পাশে কেবল তখনই আক্রমণ করতে হবে যখন বাতাস সাহায্য করবে।’
জাকের যোগ করেন, ‘এগুলো মাথায় রাখা দরকার। আমি বারবার টপঅর্ডারকে দোষ দিতে চাই না। যদি আমরা শুরুতে ভালো শুরু করতাম, তাহলে ঝুঁকি কম থাকত। যেহেতু হাতে উইকেট ছিল না, ঝুঁকি নেওয়ার সুযোগও ছিল না।’
এমএমআর