অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, টাকা পাচার যারা করে তাদের সক্ষমতা আমার, আপনার (জনগণের) চেয়ে দ্বিগুণ। তবে, আমরা ১২টা দেশের সঙ্গে একই সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচারের টাকা ফেরত আনার দৃশ্যমান কিছু দেখাতে পারবেন কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দৃশ্যমান হয়তো আশা। তবে, আমরা ১২টা দেশের সঙ্গে একই সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে চেষ্টা করছি। টাকা পাচার যারা করে তাদের সক্ষমতা আমার, আপনার চেয়ে দ্বিগুণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির যে অর্থ ফিলিপিন্সে চলে গেছে তা ফেরত আনতে জান বের হয়ে যাচ্ছে।
- আরও পড়ুন
- পাটপণ্যে ভারতের নিষেধাজ্ঞা রপ্তানিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না
- চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯ হাজার কোটি টাকা
সংষ্কার নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেটা ইনিশিয়েট করেছি সেটা এগিয়ে নিতে হবে। কিছু প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা আছে। সেটা কাটনোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটাকে চলমান রাখতে হবে। বেসরকারি খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বেই অনিশ্চয়তা চলছে- এমন মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ২-৩ মাস আগে ব্যবসায়ীরা হইচই করতেন। এখনও অনেকেই করছেন। কিন্তু এখন সেটা কমেছে। আমরা ডলার রেটটা একটা জায়াগায় ধরে রাখতে পেরেছি। রিজার্ভ বাড়ছে। ফলে এলসি খোলার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা আর হচ্ছে না। তবে বেরকারি খাতের কিছুটা আস্থাহীনতা রয়েছে। আমরা সেটাকে ওভারকাম করার চেষ্টা করছি।
এমএএস/এএমএ/এএসএম