দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। টাঙ্গাইলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। একইসঙ্গে চলছে মণ্ডব সাজসজ্জার কাজ। গত বছরের চেয়ে এবার মণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জেলায় সাড়ে ৯০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন এবারের পূজায়।
জানা যায়, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চমী পূজার মধ্য দিয়ে সারাদেশে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উৎসব।
টাঙ্গাইলের ১২ উপজেলায় এবার সম্ভাব্য ১২২০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের চেয়ে ১১৬টি বেশি। বর্তমানে বিভিন্ন মন্দিরে শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীনভাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন কারিগররা। এরইমধ্যে সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরি হয়েছে প্রতিমার কাঠামো। এখন চলছে রং-তুলির আঁচড়।
প্রতিমা শিল্পীরা বলেন, প্রতিজন একাধিক প্রতিমা তৈরি করেছি। ছোট, বড় বিভিন্ন সাইজের প্রতিমা বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করছি। লাভ-লোকসান যাই হোক, বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই আমরা আনন্দের সঙ্গে প্রতিমা তৈরি করছি।
আরও পড়ুন
মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
এবার পূজার আয়োজন খুবই ভালো, কোনো সমস্যা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রতিমা তৈরিতে ব্যয় বাড়লেও বাড়েনি বাজেট
শহরের আদালত পাড়ায় কথা হয় প্রতিমা শিল্পী নিশি কান্ত পালের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই এ পেশায় যুক্ত আছি। আগের তুলনায় এখন লাভ কম হচ্ছে। তবুও বাপ-দাদার এ পেশায় আছি।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সবকিছু মিলিয়ে জেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে শারদীয় আমেজ। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এবার পূজামণ্ডপের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপ সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। আশা করছি কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পূজা শেষ করতে পারবো।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পূজার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এবার পূজা মণ্ডপে ৯৫০ জন আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।
এফএ/জিকেএস