এবারের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নেয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে তারা হার দেখেছে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে।
টানা দুই জয়ের পর হেরেছে খুলনা, টানা দুই হারের পর জয়ে ফিরেছে রাজশাহী। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। জিশান আলমের অফস্পিনে উইলিয়াম বসিস্তু (৫ বলে ৬) একবার এলবিডব্লিউ আবেদন থেকে বেঁচে গেলেও ঠিকই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন প্রথম ওভারেই। তাসকিন আহমেদের শিকার হওয়ার আগে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৭ বলে মাত্র ১ রান।
২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন নাইম শেখ আর আফিফ হোসেন। কিন্তু দুজনই রানের লক্ষ্য বাদ দিয়ে বল নষ্ট করতে থাকেন। ২৮ বল খেলে ২৪ রান করে আউট হন নাইম। আফিফ ৩৩ করতে খরচ করেন ৩০ বল। তখনই আসলে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে খুলনা।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন সেই চাপ সরাতে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। কিন্তু তার ইনিংসটি থেমেছে ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রানে। এরপর ইমরুল কাযেস ৬ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ১৭ রানের ক্যামিও উপহার দেন।
তবে ছোট ছোট এসব ইনিংসে দলের জয়ের কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হয়নি। শেষ পর্যন্ত খুলনা ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা।
তাসকিন আহমেদ, সোহাগ গাজী আর রায়ান বার্ল নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ৯.৫ ওভারে ৬৭ রানে ৪ উইকেট ছিল না দুর্বার রাজশাহীর। বেশ বিপদেই পড়েছিল দলটি। সেখান থেকে ইয়াসির আলী রাব্বি, রায়ান বার্ল আর শেষদিকে আকবর আলীর ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না রাজশাহীর। গতিশীল ইনিংস না হলেও রানের একটি ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও জিশান আলম। ২০ বলে ২৭ রান করে ফেরেন হারিস। ২২ বলে ২৩ রান করেন জিশান।
আজ ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় (৮ বলে ৭)। নাসুম আহমেদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি ব্যাটার। এসএম মেহেরব ৭ বলে ৫ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন।
পঞ্চম উইকেটে ৮৮ রানের জুটি করেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও রায়ান বার্ল। এতেই লড়াকু সংগ্রহের দিকে যায় রাজশাহী। ফিফটি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় ইয়াসির আলীকে। আবু হায়দার রনির করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ২৫ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৪১ রান করে বোল্ড হন তিনি।
এরপর উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন আকবর আলী। ৯ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও উপহার দেন যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। বার্ল ২৯ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
নাসুম আহমেদ ২০ রানে ২টি আর মোহাম্মদ নওয়াজ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আবু হায়দার রনি নেন একটি করে উইকেট।
এমএমআর/এএসএম