টানা বৃষ্টিতে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় হাঁটু পানি

3 hours ago 3

টানা বর্ষণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে টার্মিনালে ঢুকতে এবং বের হতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া টার্মিনালের সামনে জলাবদ্ধতার কারণে বেশ কয়টি গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে গেছে।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা ৩ ঘণ্টায় ঢাকায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে ভোর থেকেই পানি জমতে থাকে। সকাল ছয়টার পর থেকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে যেতে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে ব্যক্তিগত যানবাহন যেতে পারছিল না। যে কয়েকটি সিএনজি এবং ব্যক্তিগত গাড়ি গেছে, সেগুলোর ভেতর পানি ঢুকেছে। আবার কিছু যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক)। সংস্থাটির প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল সড়কের পাশেই আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত টানেলের কাজ চলছে। এ কারণে বৃষ্টির পানি অপসারণের অনেকগুলো লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ভারী বর্ষণ হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ জলাবদ্ধতার কারণে যেসব যানবাহন সরাসরি অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ঢুকতে পারেনি, সেগুলো আন্তর্জাতিক টার্মিনালের পার্কিং এড়িয়া ঘুরে গেছে। এতে বিমানবন্দর এলাকায় যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে এখানে সাধারণ যাত্রীসহ বিদেশি, প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ঢুকতে, এখান থেকে বের হতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। তবে দুপুরের পরপর ওই সড়কে পানি কমতে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে বেবিচকের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সম্প্রতি বিমানবন্দর এলাকার জলাবদ্ধতা সমাধানে বিমানবন্দর রেলস্টেশন-সংলগ্ন আশকোনা রেলগেট এবং এর আশপাশের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সে সময় তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে এয়ারপোর্ট-আশকোনা এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বেবিচক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন একযোগে কাজ করবে। তবে এখন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান কোনো কাজ চোখে পড়েনি।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জোবায়ের হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ডিএনসিসি বেশ কিছু এলাকা জলাবদ্ধতার স্থান হিসেবে চিন্থিত করেছে। এর মধ্যে বিমানবন্দর এলাকাও আছে। এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে।

এমএমএ/এএমএ/জেআইএম

Read Entire Article