দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা করে ভালোই সাফল্য দেখল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ সংস্করণের খেলোয়াড় তুলে আনতে আলাদা টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল তারা। স্বল্প সময়ে মধ্যে হওয়া জমজমাট টুর্নামেন্টটির শিরোপা ঘরে তুলেছে রংপুর বিভাগ। তবে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে পরখ করার সুযোগ মিলেছে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সামনে। একই সঙ্গে কদিন পর শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের আগে একটা প্রস্তুতিও হলো ক্রিকেটারদের।
সিলেটে জাতীয় লিগের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ম্যাচগুলো হয়েছে দুটি গ্রাউন্ডে। কখনো হাই স্কোরিং ম্যাচ আবার কখনো লো স্কোরিং ম্যাচ দেখা মিলেছে। তবে শেষ চার পর্যন্ত সবকয়টি ম্যাচই মোটামুটি সন্তুষ্ট করেছে বিসিবিকে। কিন্তু ফাইনালটা হয়ে গেছে পুরোই একপেশে। ব্যাটিং ব্যর্থতা কিংবা সর্বনিম্ন রান—সবই দেখা মিলেছে। এই হতাশা খোদ বিসিবির চিফ কো অর্ডিনেটর অব প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদীন নান্নুরও। তবে সবকিছু নিয়ে খুশি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একশতে ১০০ দেওয়া যাবে না। একশতে ৯০ দিতে হবে। ফাইনাল ম্যাচের উইকেট অতটা আশানুরূপ হয়নি। কারণ, ওটায় যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ ছিল।’
এমন হওয়ার কারণও খোলাসা করেন তিনি, ‘এখানে প্রতিদিন চারটা করে ম্যাচ হয়েছে, দুই মাঠে। সে হিসেবে অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল; তারপরও ভালো আচরণ করেছে। শুধু ফাইনাল ম্যাচটা অল্প রানের হয়েছে। সবমিলিয়ে আমি বলব অনেকগুলো খেলোয়াড়কে নির্বাচক প্যানেল নজর করেছে। আগামীতে যেন এ টুর্নামেন্টটা আমরা ধারাবাহিক করতে পারি। ইনশাল্লাহ আশা করি টি-টোয়েন্টিতে ফরম্যাটে যে ঘাটতিটা আছে, ওটা আমরা পূরণ করতে পারব।’
এবারের জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টতে জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই খেলতে পারেনি। জাতীয় দলের সিরিজে ব্যস্ত ছিলেন তারা। এমনকি জাতীয় লিগের লম্বা সংস্করণেও তাদের অংশগ্রহণ ঠিকঠাক হয় না। নান্নুরা সেটাকে বিবেচনায় নিচ্ছেন। আগামীতে যেন সেরকম না হয়, তা নিশ্চিত করতে বোর্ডকে একটি পরিকল্পনাও দিচ্ছেন জানিয়ে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অবশ্যই। এটা মাথায় রাখতে হবে সবমিলিয়ে জাতীয় দলের পুলের সবাই যেন অংশ নিতে পারে। এটাও খেয়াল রাখতে হবে এনসিএল যেটা চারদিনের হয়, ওটা যেন আমরা এক টানা শেষ না করি। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যেন ৫০ শতাংশ ম্যাচ পায়। এটা চিন্তা ভাবনার একটা পরিকল্পনা আমরা বোর্ডে দিচ্ছি। আশা করছি আগামীতে আমরা এভাবে এগোবো।’
সিলেটে সবকয়টি ম্যাচ হওয়াতে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম সমস্যা কিংবা উইকেট থেকে শেষ দিকে ভালো আচরণ দেখা মেলেনি। আগামীতে তাই টুর্নামেন্টকে কয়েকটি ভেন্যুতে ছড়িয়ে দিতে চান নান্নুরা, ‘আমরা এই টুর্নামেন্ট অন্তত তিন ভেন্যুতে খেলতে চাই। এতে খেলোয়াড়রাও বিশ্রাম পেতো। ওদের মানসিকতাও একটা জায়গায় নিয়ে যেত পারতো। ভেন্যুর জন্য পারিনি। কারণ এটা অল্প সময়ের মধ্যে টুর্নামেন্টটা করতে হয়েছে। সামনে বিপিএলও আছে। সে হিসেবে আমরা চিন্তা করে আগামীতে ইনশাল্লাহ পরিকল্পনা করে যেন করে ৩/৪টা ভেন্যুতে টুর্নামেন্টটা করতে পারি।’