টিউবওয়েলের পানি পান করে ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ

2 weeks ago 12

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলের পানি পান করে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি- পানি পান করে নয়, তীব্র গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

অসুস্থ হয়ে পড়া বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করি। এর কিছু পর তীব্র গরমে পিপাসা পেলে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠাণ্ডা পানি পান করার কিছু পর বমি শুরু হয়। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পর সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

অসুস্থ অপর দুই শিক্ষক হলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শুকলা রানী শিল ও রেবেকা আক্তার।

শিক্ষার্থীরা হচ্ছে, নাহিদ (৯), নাইমা (৮), সাবিহা (৯), রামিসা (৮), মো. হাসান (৯), শাহিন হোসেন (৯), লামিয়া (১০), পিয়াস (১০), সুমনা আক্তার (১১), লিমন (১০)। তাদের বাড়ি রামকান্তপুর গ্রামে।

এরমধ্য রামিসার (৮) অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এবিষয়ে সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুই জনের চিকিৎসা এখানে চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়জুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পানিতে কোনো বিষক্রিয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাননি। গরমের কারণে এটা ঘটতে পারে। এরপরও টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করে দেখা হবে।

এন কে বি নয়ন/এএইচ/জেআইএম

Read Entire Article