পাকিস্তানের কোয়েটায় সম্প্রতি এক বাবা তার কিশোরী মেয়েকে শুধু টিকটক ভিডিও বানানোর কারণে হত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তানে ফিরে আসার পর টিকটক ভিডিও বানাতে শুরু করেছিলেন। তার পোশাক, জীবনযাপন এবং চলাফেরা নিয়ে পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। এরই মধ্যে তার বাবা আনোয়ার উল-হক তার মেয়ের টিকটক ভিডিও দেখে ক্ষুব্ধ হন এবং এটি তাকে ‘অপমানজনক’ মনে হয়।
এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই মেয়ের বাবা আনোয়ার উল-হক। পুলিশ জানায়, তিনি প্রথমে দাবি করেছিলেন যে, অন্য কেউ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতg তবে পরে তিনি নিজেই এটি করেছেন বলে স্বীকার করেন। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানে ‘অনার কিলিং’ বা ‘সম্মান রক্ষার নামে হত্যা’ একটি সাধারণ ঘটনা। ২০১৬ সালে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
এটি পাকিস্তানের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর প্রতিকূল প্রভাবের এক উদাহরণ।