টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনবল সংকটে ডিএসসিসি

3 months ago 50

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন টিকাদান কার্যক্রমে তুলনামূলকভাবে সফলতা অর্জন করলেও বেশ কিছু জায়গায় পিছিয়ে আছে। যার মূল কারণ হলো টিকাদান কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত জনবল সংকট।

তবে জনবল সংকট নিরসনে ডিএসসিসি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে নগর ভবনে ‘ডিএসসিসিতে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায়’ বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। টিকাদান প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এবং সব শিশুকে টিকার আওতায় আনতে মেয়রের নেতৃত্বে ডিএসসিসি কাজ করে যাচ্ছে। আমরা টিকাদান প্রক্রিয়ার সঙ্গে জনবল নিয়োগ দিয়েছি এবং বাকি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এর মাধ্যমে টিকাদানে ডিএসসিসির সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে শিশুদের সুরক্ষায় টিকাদান কর্মসূচিসহ স্বাস্থ্যখাতকে গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে।

গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের (গ্যাভি) সিএসও কনস্টিওন্সি স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ। তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকও। পর্যাপ্ত টিকার অভাবের পাশাপাশি অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না বলেন তিনি। যা অনেক শিশুকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সমস্যা সমাধানে দ্রুত সব শুন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা জরুরি। একই সঙ্গে নতুন পদ সৃষ্টি, সেখানে জনবল নিয়োগ এবং কার্যকর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে টিকাদান প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ (টিকা) ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ডিএসসিসির ব্যাপক জনবলের সংকট থাকা সত্ত্বেও তারা টিকাদানের কার্যক্রমে সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু শহরে শিশুদের শতভাগ টিকাদান নিশ্চিত করা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টিকাদান কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সব জনবল নিয়োগ দেওয়া জরুরি। এ জন্য সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মায়া ভ্যানডেনেন্ট বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় শিশুদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। শহরের এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা জরুরি। আমাদের শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান যে সুযোগ আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, ইপিআই’র সহকারী পরিচালক ডা. মো. তোফাজ্জেল হোসেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়ক এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

ইপিআই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইপিআই টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এ সমীক্ষা পরিচালনা করে।

এএএম/এসএনআর/এমএস

Read Entire Article