টেকনাফ অভিযান চালিয়ে পাচারকারী চক্রের থেকে ১৪ জিম্মিকে উদ্ধার করেছে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান পিএসসি।
আটকরা হলেন- টেকনাফ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু তাহের (৬৯), ও তার স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৮) এবং উত্তর জালিয়া পাড়ার মোহাম্মদ শফি (৩২)।
লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়- মানবপাচারের সংগঠিত চক্রটি টেকনাফের নোয়াখালী পাড়ার আবু তাহেরের বাড়িতে ও দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ শফির বাড়িতে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে একত্রিত করে রেখেছে।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ অক্টোবর রাতে টেকনাফ নোয়াখালী পাড়ার আবু তাহেরের বাড়িটি ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৮ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য আবু তাহেরসহ ২ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একই রাতে দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ শফির বাড়িতে অপর আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে পাচারের উদ্দেশে বন্দি রাখা ৬ জনকে এবং মূল অভিযুক্ত মোহাম্মদ শফিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। তবে পাচার চক্রের অন্যান্য সদস্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন,মানব পাচারবিরোধী অভিযানগুলোই বিজিবির দৃঢ় অবস্থানের স্পষ্ট বার্তা। যেকোনো অপরাধীর জন্যই টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থেকে সমুদ্রের জলসীমা পর্যন্ত এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ নয়। মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করব না। আমাদের এই ধারাবাহিক ও কঠোর নজরদারি এবং সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উদ্ধার ১৪ জন ভুক্তভোগীকে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আটক ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
জাহাঙ্গীর আলম/এনএইচআর/জিকেএস

3 hours ago
6









English (US) ·